পটুয়াখালীর গলাচিপায় একটি মুখপোড়া হনুমান পিটিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশুপ্রেমী সংগঠন এনিমেল লাভার অব পটুয়াখালী। আর বনবিভাগ আশ্বাস দিচ্ছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।
গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের উত্তর আমখোলা গ্রামে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রি জানান, হনুমানের খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় বন বিভাগের লোক পাঠানো হয়। তারা সারাদিন ওই এলাকায় ছিল এবং মানুষকে বুঝিয়েছে হনুমানটি মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বিকালে বন বিভাগের লোক সেখান থেকে চলে আসার পরে স্থানীয় লোকজন হনুমনটিকে পিটিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়। পরে লোকমুখে এ খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে মৃত্যু হনুমানটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে।’
রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন জানান, এটি সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় থাকে। কীভাবে এখানে আসলো তা বলা মুশকিল তবে ধারণা করা হচ্ছে অন্য এলাকা থেকে মালবাহী কোনো পরিবহনের মাধ্যমেও এটি এ এলাকায় আসতে পারে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে এনিমেল লাভার অব পটুয়াখালী সংগঠনের সদস্য আহসানউল্লাহ হাসান মুছা বলেন, ‘হনুমানটি পটুয়াখালীতে এসছে বেশ কিছু দিন আগে। মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি, খুবই শান্ত। কেন হনুমানটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হলো, কি দোষ ছিল তার? এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়া হলে ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা আরও ঘটবে।’
এ বিষয়ে জানতে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জানান, লোকমুখে শুনিছি যে, ওই এলাকার একটি বাসায় হনুমানটি ঢুকে একটি বাচ্চাকে আঘাত করে। পরে ওই বাচ্চার মায়ের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যেকোন এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে হনুমানটি মারা যায়। পরে বনবিভাগের লোকজনকে খবর দেয়া হয়ে।