ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জের ধরে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিজয় উপ-গ্রুপের দুই পক্ষ। সংঘর্ষকালে দুই পক্ষের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দেয়। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষকালে উভয় পক্ষ একে অপরের দিকে ইট পাটিকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় সোহরাওয়ার্দী হলের ৮টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। আহত হয় কমপক্ষে চারজন। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম হস্তক্ষেপ করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, হলের রুম দখলে রাখা ও গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিজয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে অন্তর্কোন্দল চলছিল। সোমবার একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে আল-আমিনের অনুসারী কর্মীরা এ এফ রহমান হল ও আলাওল হল থেকে ফুল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হল প্রাঙ্গণে এলে দেলওয়ারের অনুসারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের উভয় পক্ষের ১৫জন কর্মী আহত হন।
একুশে ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। শুক্রবার বিকেলে আলাওল হল ও এএফ রহমান হলে অবস্থানরত বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত কর্মীদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এর পর পরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে চারজন চিকিৎসা নিতে এসেছিল। তাদের মধ্যে একজনের ক্ষতস্থানে সেলাইয়ের প্রয়োজন হয়। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’
সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ‘আলাওল ও এফ রহমান হল থেকে এসে কিছু ছেলে আমাদের হলের অফিসসহ ৮টি কক্ষ ভাঙচুর করেছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডিকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
সহকারী প্রক্টর গোলাম কুদ্দুস লাভলু শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। দুই পক্ষের কর্মীরা স্ব স্ব হলে অবস্থান করছে। হলের বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সংঘর্ষে জড়ানো এক পক্ষের নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা কেউ ঘুমাচ্ছিল, কেউবা হলের মাঠে খেলছিল। ওরা এসে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।’
আরেক পক্ষের নেতা আল-আমিনকে একাধিকবার ফোন দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।