আওয়ামী লীগের নেতা ও এমপিদের পাবলিক বাসে ভ্রমণ ও চায়ের দোকানে বসে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনগণের কথাবার্তা শোনার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, জনগণের সেসব কথাবার্তা শুনে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দুই দণ্ডও সেখানে আর বসে থাকতে পারবেন না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার এক সমাবেশে নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সংবিধান নিয়ে তামাশা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ বন্ধ, দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিলের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র দূষিত করে ফেলা হয়েছে। ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে বিনাভোটে নির্বাচন হয়। দিনের ভোট রাতেই শেষ করা হয়। এভাবে চলতে পারে না।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এমপিরা (সংসদ সদস্য) পারলে খলিফা হারুন উর রশীদের মতো ছদ্মবেশে একদিন পাবলিক বাসে উঠে বসেন। শোনেন বাসের লোকেরা আপনাদের সম্পর্কে কী বলে। আল্লাহর কসম, এক-দুই স্টপেজের বেশি থাকতে পারবেন না। অতিষ্ঠ হয়ে যাবেন।
‘পারলে কোনো ছোট-খাট চায়ের দোকানে গিয়ে বসেন। শোনেন গিয়ে কী বলে লোকজন আপনাদের সম্পর্কে। কিন্তু এগুলো তো আপনারা শুনবেন না।’
আওয়ামী লীগ সংবিধান নিয়ে তামাশা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে লিখে রাখেন সমাজতন্ত্র কায়েম করবেন, আর চর্চা করেন মুক্তবাজার অর্থনীতির। একটার সঙ্গে আরেকটা কি যায়? সংবিধানে লিখে রাখেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, আর মুখে বলেন আপনারা ধর্মনিরপেক্ষ। সেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের আন্দোলন প্রতিহত করতে চান। পারবেন না। অতীতে কেউ পারেনি, আপনারও পারবেন না।’
আগামী দিনে বিএনপি বিজয়ী হবে দাবি করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই সরকার যেসব পত্র-পত্রিকা অন্যায়ভাবে বন্ধ করেছে, সব খুলে যাবে। বরং যারা বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য দিয়ে উল্টা-পাল্টা জিনিস প্রতিদিন প্রচার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আমরা বন্ধের পক্ষে নই।’
বিএসপিপি সভাপতি এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএসপিপি সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।