মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ধলেশ্বরী নদীতে মাটির ডাইভারশনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
শুক্রবার দুপুরে সিংগাইর পৌরসভার কাশিপুর এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে মাটি খননের কাজ শুরু করলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর চাপের মুখে ডাইভারশনের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন ঠিকাদার ও শ্রমিকরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নদী খনন প্রকল্পের আওতায় কয়েক বছর আগে সিংগাইর উপজেলার ধলেশ্বরী অংশ খনন করা হয় এবং নদীর মাটি আশপাশে স্তূপ করে রাখেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার হায়দার ইসলাম। তিনি এখন সেই মাটি সরিয়ে নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু নদীতে পানি থাকায় ধলেশ্বরী নদীতে মাটির ডাইভারশন দিতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। পরে পুলিশ এলাকাবাসী ও ঠিকাদারের কথা বলে নদীতে ডাইভারশন নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয় কাশেমনগর এলাকার আজমত আলী বলেন, ‘এর আগে নদী খননের কারণে আশপাশের জমিজমা নদীতে ভেঙে গেছে। এখন নদীতে বাধঁ দিলে বালুবাহী গাড়ি চলাচলের জন্য এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে। এ কারণে আমরা এই কাজে বাধা দিয়েছি।’
একই এলাকার মুফতি আব্বাস বলেন, ‘এলাকাবাসীর সাহায্য নিয়ে যাতায়াতের জন্য নদীতে বাঁশের পুল দেয়া হয়েছে। নদীতে বাধ দিলে মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হবে। জমিজমা ও বাড়িঘরের ক্ষতি হবে। এ কারণে আমরা প্রশাসনের সাহায্য কামনা করি।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হায়দার ইসলাম এন্টাইপ্রাইজের মালিক হায়দার ইসলাম বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড ধলেশ্বরী নদীতে কিছুদিনের জন্য ডাইভারশনের অনুমতি দিয়েছে। কারণ নদীর ওপারে আমার মাটি রয়েছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করেই ডাইভারশনের কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু অসাধু লোকের উস্কানিতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।’
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, ‘এলাকাবাসী ও ঠিকাদারের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ডাইভারশনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই ডাইভারশনের বিষয়ে এলাকাবাসী ও ঠিকাদারের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী র্কমকর্তার (ইউএনও) মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।