জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সিনিয়র ফিল্ড অপারেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট রাবেয়া খাতুনের বাসায় হামলা, বাবা-মাকে মারধর ও পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকদম্পতি ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে।
সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রাবেয়া খাতুনের বাবা সাবেক নৌ-কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহেনূল ইসলাম ফারুক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করে সাবেক নৌ-কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহেনূল ইসলাম ফারুক জানান, ১৯৯০ সালে সরিষাবাড়ী পৌরসভার আরামনগর বাজার বড় মসজিদ সংলগ্ন ৬ শতক জমি কিনে বসবাস শুরু করেন। তার বাসার দুইপাশে স্থানীয়দের চলাফেরার জন্য কেনা জমি থেকে প্রায় এক শতক জায়গা ছেড়ে দেয়া হয়।
দক্ষিণ-পূর্বপার্শ্বের একটি পরিবারের চলাচল ও সাইকেল-মোটরসাইকেল যাতায়াতের পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও তার কাছে প্রতিবেশী ও চরসরিষাবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম রতন ভারী যানবাহন চলাচলে রাস্তার জন্য অতিরিক্ত জায়গা দাবি করেন।
একপর্যায়ে শিক্ষক রতন সাবেক নৌ-কর্মকর্তা রুহেনূল ইসলামের সই জাল করে দাবি করা জায়গা বেদখলের অপচেষ্টা ও কয়েকবার সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে।
এ নিয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও স্বাক্ষর জালের অভিযোগে আদালতে আলাদা তিনটি মামলা ও থানায় দুটি জিডি তদন্তাধীন আছে।
গত বুধবার সকালে রুহেনূল ইসলাম তার বাসার ভেঙে ফেলা সীমানা পুনরায় নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষক রবিউল ইসলাম, তার স্ত্রী শিক্ষিকা আফরোজা বেগম ও ছেলে আকাশসহ বহিরাগত লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়।
একপর্যায়ে রুহেনূল ইসলাম, তার স্ত্রী লুৎফা আক্তার ও মেয়ে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তা রাবেয়া খাতুনকে মারধর, চারটি টিনের বেড়া, একটি সিসি ক্যামেরা ও দুটি স্মার্টফোন ভাঙচুর করে নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দেয়।
রুহেনূল ইসলাম অভিযোগ করে জনান, তাদের ফাঁসাতে রতন মাস্টার উল্টো তার মা ও স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির নাটক করে। আতঙ্কে তার পরিবার বর্তমানে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বলেও অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম রতনের বক্তব্য জানতে তার বাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষের নামে থানায় আলাদা লিখিত অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।