বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আসছেন মন্ত্রী, কাটা পড়ছে গাছ

  • প্রতিনিধি, জামালপুর   
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২৩:০০

মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক বাবু বলেন, হেলিকপ্টার চড়্রে মন্ত্রী আসবেন তাই হেলিপ্যাড নির্মাণের জন্য গাছ কাটার অনুমতি আমি দিয়েছি। এখানে আমি কোনো অসুবিধা দেখছি না।

জামালপুর সদর উপজেলায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সফরকে কেন্দ্র করে গাছ কেটে হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

উপজেলার মেষ্টার হাসিল স্কুল অ্যান্ড কলেজ রোববার পরিদর্শনে আসবেন শিক্ষামন্ত্রী ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। অভিযোগ উঠেছে, মন্ত্রীদের জন্য সরকারি গাছ কেটে হেলিপ্যাড নির্মাণ করছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম।

স্থানীয়দের ভাষ্য, হাসিল বটতলা থেকে কামালখান বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে নানা ধরনের গাছ রয়েছে। এসব গাছ জনগনের জমির পাশে থাকলেও তা এখন সরকারি হিসেবে গণ্য। নুরুল ইসলামের নির্দেশে তার স্কুলের পাশের রাস্তার এসব গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, যেখান থেকে গাছ কাটা হয়েছে তার পাশের জমির অবৈধ মালিকানা দাবি করেন নুরুল ইসলাম। তিনি জমির মালিক না হয়েও কয়েকবছর আগে ওই জমি থেকে প্রায় দুই শতাধিক গাছ কেটে নেন। ফের গাছ কাটা শুরু করেছেন মন্ত্রীর স্কুল পরিদর্শনের অজুহাত দেখিয়ে।

হবিবর নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, রাস্তার পাশের এই গাছগুলো আমরাই রোপণ করেছি। রাস্তার পাশে হওয়ায় এগুলা সরকারি গাছ হয়েছে। সরকার তার প্রয়োজনে এই গাছ যদি কেটে নেয় তাহলে আমাদের কোনো দাবি নেই। কিন্তু স্থানীয় কেউ নিজের সুবিধার জন্য এটি কাটার চেষ্টা করলে আমরা এলাকাবাসী তাতে বাধা দেব।

অভিযোগের বিষয়ে নুরুল ইসলাম নিউজবাংলাক বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আমার স্কুলে শিক্ষামন্ত্রী ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আসার কথা রয়েছে। তাদের হেলিকপ্টার ল্যান্ড করার জন্য একটা ফাঁকা জায়গা দরকার। তাই স্কুলের পাশে ফাঁকা জায়গায় হেলিপ্যাড তৈরির জন্য আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানাই। এখন গাছ কে কেটেছে, তা চেয়ারম্যানই ভালো বলতে পারবেন।

মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক বাবু বলেন, হেলিকপ্টার চড়ে মন্ত্রী আসবেন তাই হেলিপ্যাড নির্মাণের জন্য গাছ কাটার অনুমতি আমি দিয়েছি। এখানে আমি কোনো অসুবিধা দেখছি না।

এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, মেষ্টা ইউনিয়নে গাছ কাটা নিয়ে সমস্যার কথা শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর