বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাসপোর্ট করতে গিয়ে হেনস্তা, বাদ যাননি ম্যাজিস্ট্রেটও

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:৪০

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভূপালী সরকার তার দুই আত্মীয়কে নিয়ে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন পাসপোর্ট অফিসের রেকর্ড কিপার মো. টিপু সুলতান ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আফসানা আনসারী।

খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ কম নয়। তবে এবার সেখানে পাসপোর্ট করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার অফিসের একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। এ ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার পাসপোর্ট অফিসের দুজন কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভূপালী সরকার তার দুই আত্মীয়কে নিয়ে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন পাসপোর্ট অফিসের রেকর্ড কিপার মো. টিপু সুলতান ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আফসানা আনসারী।

বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে দুজন কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে। যদিও ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। অফিস ফর্মালিটি মেইনটেইনের জন্য তাদের শোকজ করা হয়েছে। এটি প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে না।’

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ভূপালী সরকার বলেন, ‘আমাকে চিনতে না পেরে পাসপোর্ট অফিসের দুজন অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারছি না।’

নানা অনিয়মের অভিযোগে ২০২২ সালের ০৬ ডিসেম্বরে সিলেট থেকে সরিয়ে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে বদলি করা হয় বর্তমান পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলামকে। খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে তিনি যোগদানের পর থেকেই সেটি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

লিয়াকত নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলাম, আমার কাগজপত্রে কোনো ভুল ছিল না। তারপরও আমাকে ফেরত পাঠানো হয়। পরের দিন আবার গিয়ে পাসপোর্টের আবেদনপত্র জমা দিতে যাই। তখন একজন জানান, ১৫০০ টাকা দিলে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট করে দেবে। ’

রিয়াছাদ নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি পাসপোর্ট নবায়ন করতে দিয়েছিলাম। নতুন পাসপোর্ট আনতে গিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ জানায়, পুরোনো পাসপোর্ট ছাড়া নতুন পাসপোর্ট দেয়া হবে না। পরে একজন আনসার সদস্য আড়ালে ডেকে নিয়ে বলেন, এক হাজার টাকা দেন নতুন পাসপোর্ট দিয়ে দিচ্ছি।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনা পাসপোর্ট অফিস এখন শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত।’

এ বিভাগের আরো খবর