বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানুষের যাতে খাদ্যকষ্ট না হয় সেটাই লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:০০

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সময়ে আমরা নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন-এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক কোটি মানুষকে মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে চাল দিতে টিসিবি কার্ড দিয়েছি। তার চেয়েও নিম্নবিত্তরা যাতে ১৫ টাকা কেজিতে চাল নিতে পারে, প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জন্য সে ব্যবস্থা করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রোজার সময় আমরা অন্তত এক কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশের মানুষের যাতে কখনো খাদ্যকষ্ট না হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

বৃহস্পতিবার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন ও ‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের কৃষিনির্ভর দেশ। তাই আমরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি কৃষির ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সব সময় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আঘাত আমাদের ওপর আসে। সেজন্য কৃষি গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে এবং এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ফসল উৎপাদন করতে হবে।’

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সব সময় কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কথা বলে গেছেন এবং ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। আমরা যান্ত্রিকীকরণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিচ্ছি, ভর্তুকি দিচ্ছি। উপকূল অঞ্চলে প্রায় ৭০ ভাগ এবং অন্যান্য অঞ্চলে তা ৫০ ভাগ।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। সেজন্য দক্ষ মানবশক্তি তৈরি করতে আমরা ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশ্বে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে। আমাদেরও তাল মিলিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।’

‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র’ উদ্বোধন করে শেখ হাসিনা দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যারা হতদরিদ্র তাদেরকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিনা পয়সায় দিচ্ছি। এই চালের সঙ্গে পুষ্টি চালও মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে, যাতে তাদের পুষ্টিহীনতা না হয়।

‘করোনা ভাইরাসের সময়ে আমরা নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, স্যাংশন, পাল্টা স্যাংশন-এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক কোটি মানুষকে মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে চাল দিতে টিসিবি কার্ড দিয়েছি। তার চেয়েও নিম্নবিত্তরা যাতে ১৫ টাকা কেজিতে চাল নিতে পারে, প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জন্য সে ব্যবস্থা করেছি।’

অনুষ্ঠানে স্কুল জীবন থেকে শিক্ষার্থীদের কৃষি কাজে সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কৃষিতে আমাদের যুব সমাজকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা দরকার। মাঠে কাজ করা, ফসল ফলানো- এটা অত্যন্ত গৌরবের, লজ্জার বিষয় না।’

কৃষি নিয়ে শিক্ষিত যুবকদের মানসিকতা বদলানোয় নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা সময় ছিলো যখন অনেক ছেলেমেয়ে লেখাপড়া শিখে মাঠে যেতে চাইত না। এমনও ছিল যে বাবা কৃষক সেটা বলতেও লজ্জা পেত। সেই লজ্জাটা আজ আর নেই। সেই লজ্জাটা আমরা ভেঙে দিয়েছি।

‘যেটা খেয়ে আমাদের জীবন বাঁচে, সেই কাজ করাটা লজ্জার না। সেই কাজ করাটা গর্বের।’

উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রের বিভিন্ন উদ্ভাবন ঘুরে ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। আর‌ো বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্স ইনস্টিটিউটের (আইআরআরআই) মহাপরিচালক জেইন বালিই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কানাডার গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড সিকিউরিটির (সিইইউ) নির্বাহী পরিচালক ড. স্টেভিন ওয়েব ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবির।

এ বিভাগের আরো খবর