বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেএমবি সন্দেহে গ্রেপ্তার দুজন খালাস পেয়েই ‘নিখোঁজ’

  • প্রতিনিধি, লালমনিরহাট    
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৬:২০

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মো. এরশাদুল আলম বলেন, দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে আসল ঘটনা জানা যাবে।

লালমনিরহাটে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতের রায়ে খালাস পাওয়া দুজনের খোঁজ মিলছে না।

পরিবার বলছে, তাদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, তদন্তে জানা যাবে আসলে কী হয়েছে।

নিখোঁজ হওয়া ওই দুজন হলেন জামাল উদ্দিন ও মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসান। লালমনিরহাট সদর থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে জামাল উদ্দিনের বড় ভাই মো. আবুল কালাম আজাদ ও মেহেদী হাসানের বাবা মো. আবদুল লতিফ অভিযোগ জানান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাটের একটি আদালত দুই জেএমবি সদস্যের আলাদা আলাদা তিনটি রায়ে ৪২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। একই আদালত মামলায় খালাস দেয় হাসানুল বান্না, জামাল উদ্দীন, নাহিদ হাসান ও মেহেদী হাসান নামের চার আসামিকে।

নিখোঁজ দুজনের পরিবার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের মধ্যে জামাল উদ্দিন ও মেহেদী হাসান জেলা কারাগারে ছিলেন। আর একজন পলাতক ও একজন জামিনে মুক্ত ছিলেন।

সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে খালাস পাওয়ার পর ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জামাল ও মেহেদী জেলা কারাগার থেকে ছাড়া পান। বের হয়ে জেল গেট ও মসজিদের কাছে থেমে থাকা মাইক্রোবাস থেকে ৮ থেকে ৯ জন মাস্ক পরা লোক তাদের জোর করে তুলে নিয়ে চলে যান।

জামাল উদ্দিনের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি আমার নির্দোষ ভাইকে ফেরত চাই। যারাই নিয়ে যাক, সে নির্দোষ বলেই তো আদালত তাকে খালাস দিয়েছে।’

মেহেদী হাসানের বাবা আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমার ছেলের দোষ থাকলে তো আদালত খালাস দিতো না। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই। আমরা পুলিশ সুপারের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি বলেছেন, তিনি কিছু জানেন না।’

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এরশাদুল আলম বলেন, দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে আসল ঘটনা জানা যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর