লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কিশোর রাসেল হোসেন হত্যার ঘটনায় দলটির নেতা বিএম শাহজালাল রাহুলসহ ৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
এ মামলায় রাহুলসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার রাহুল উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অন্য ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার পূর্ব নন্দনপুর গ্রামের ২৭ বছর বয়সী মো. সোহাগ, রায়পুরের চরলক্ষ্মী গ্রামের ফারুক কারী ও চরকাছিয়া গ্রামের ৩০ বছর বয়সী সুমন শিকদার। তারা রাহুলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
গ্রেপ্তার আরেকজনের নাম, পরিচয় জানা যায়নি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজারে বুধবার সকালে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দুই ঘণ্টা ধরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে রাহুলসহ পাঁচজনকে আটক করে।
বুধবার সন্ধ্যায় রায়পুর থানা পুলিশ উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজারে থাকা রাহুলের আস্তানা থেকে তিনটি ধারালো ছোরা, একটি রামদা, একটি চাপাতি, তিনটি চাকু ও তিনটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করে।
নিহত রাসেলের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে গতকাল রাতে ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় আটকদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এজাহারে রাসেলের মা ফাতেমা বেগম উল্লেখ করেন, তার স্বামী মনির চরের জমিতে ফসল চাষাবাদ করেন, তবে সেই জমির ফসল জোরপূর্বক কেটে নেন আওয়ামী লীগ নেতা রাহুল। সে বিষয়ে তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার হুমকি দেন রাহুল। বুধবার সকালে রাসেল চাষাবাদকৃত সেই জমি দেখাশোনা করতে ঘর থেকে বের হয়।
পথে মাছঘাটে পৌঁছালে রাহুল তার লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাসেল ও তার বাবা মনির হোসেনের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা রাসেলের পেটে ধারালো চাকু ঢুকিয়ে দিলে সে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকজন রাসেলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।