কানাডার অন্টারিওতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈর মরদেহবাহী উড়োজাহাজ স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের পথে রওনা হবে।
পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নতুন দেশ-এর প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক শওগাত আলী সাগর নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে অন্টারিওর ডান্ডাস স্ট্রিট সাউথবাউন্ড হাইওয়ে ৪২৭-এ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় অ্যাঞ্জেলাকে বহনকারী গাড়িটি। ওই গাড়িতে থাকা আরও দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান, আরিয়ান দীপ্ত নিহত হন।
গাড়ির চালক ও শিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে কুমার নিবিড়কে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে। অসুস্থ ছেলের পাশে থাকতে স্ত্রীকে নিয়ে কানাডায় আছেন কুমার বিশ্বজিৎ।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে শওগাত আলী সাগর বলেন, ‘অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ শ্রেয়ার লাশ ২৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) স্থানীয় সময় রাতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করবে। তার বাবা জেমস সুনাম বাড়ৈ ঢাকায় বিমানবন্দরে অ্যাঞ্জেলার শবদেহ গ্রহণ করবেন।’
সড়ক দুর্ঘটনার শিকার অন্য দুজনের মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে এ সাংবাদিক বলেন, ‘বাকি দুইজনের এখনও কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকায় দেশে ফেরায় আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।’
অন্টারিও পুলিশের সঙ্গে কুমার বিশ্বজিতের সাক্ষাৎ
পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে নতুন দেশ-এর প্রধান সম্পাদক জানান, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার কুমার বিশ্বজিৎ, তার স্ত্রী নাইমা সুলতানা এবং ভাই অভিজিৎ দে অন্টারিও পুলিশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে এবং ছেলে নিবিড় কুমার দের ব্যক্তিগত সামগ্রীর বিষয়ে খোঁজ নিতে তারা পুলিশের সঙ্গে দেখা করেন।
পরে অভিজিত দে ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, অন্টারিও পুলিশের কর্মকর্তা মার্কের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তা তাদের নিশ্চিত করেছেন, নিবিড় কুমারের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির মালিকানার কাগজপত্র ও ইন্স্যুরেন্স যথাযথ ছিল; কোনো ত্রুটি ছিল না।
ফেসবুক পোস্টে অভিজিত দে দুর্ঘটনায় নিহত নিবিড়ের অপর তিন বন্ধুর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে তিনি দুর্ঘটনা নিয়ে গুজব এবং মনগড়া তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান।