‘নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত থাকায় জেলের বাইরে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে কোনো বাধা নেই। তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় আইন অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক এমন মন্তব্য করেছেন।
সচিবালয়ে বুধবার জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন উনি (খালেদা জিয়া) রাজনীতি করতে পারবেন না? উনি জেলে থেকেও রাজনীতি করতে পারবেন, দলকে নির্দেশনা দেবেন। তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আইন অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচনী আইনে যা আছে, তাই মানতে হবে। এখানে সরকার বা নির্বাচন কমিশনসহ কারও কিছু করার নেই।
‘গণতান্ত্রিক দেশ। তিনি একটা দলের একজন রাজনৈতিক নেতা, দুই বারের প্রধানমন্ত্রী। কেন তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না? রাজনীতিবিদ তো রাজনীতিবিদই, রাজনীতি উনি করতে পারবেন।’
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বুধবার সচিবালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি: নিউজবাংলা
বর্তমান সরকারের অধীনে ফোরটোয়েন্টি মার্কা নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মান্না কেন, সেটা আরও বড় বড় নেতারাও বলেছেন। মান্নার পার্টি তো খুবই ছোট। এই পার্টি কী বলছে সেটা নিয়ে আমরা এতটা মাথা ঘামাচ্ছি না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।
‘প্রধানমন্ত্রী আছেন, নির্বাচন পর্যন্ত থাকবেন। নির্বাচনে যদি জনগণ ভোট না দেয় আমরা স্যালুট দিয়ে চলে যাব। কিন্তু নির্বাচন হবে, সময়ের মধ্যেই হবে। সংবিধানের বাইরে কারও কিছু করার সুযোগ সেই।’
জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশ থেকে আম নেবে। এছাড়া শাকসবজি এবং অন্যান্য ফলও নেবে। বর্তমানে জাপানে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য যায় না। পণ্য নিরাপদ হতে হবে, মান নিশ্চিত করতে হবে। সেগুলো নিয়ে দুই দেশ কাজ করছে। আমের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।’
জাপান থেকে বাংলাদেশ কৃষি যন্ত্রপাতি কেনে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি জাপানি কোম্পানিগুলো যেন বাংলাদেশে তাদের কারখানা করে। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার এসিআইসের সঙ্গে বাংলাদেশে কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপার, ট্রান্সপ্ল্যান্টানের কারখানা করছে। খুব তাড়াতাড়ি এটি শুরু করবে।’
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন, ‘কৃষি খাতে জাপান-বাংলাদেশ সহযোগিতা আরও বাড়াতে চাই। সেজন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে চাচ্ছি যাতে করে সহযোগিতার অগ্রাধিকার খাতগুলো চিহ্নিত করে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা যায়।’