নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ শামীমা বেগম যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আইনি লড়াইয়ে হেরেছেন। এর ফলে তিনি আর সে দেশে ঢুকতে পারবেন না।
স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির একটি আদালত তার এ সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলার বিচারকাজ হয় এমন আংশিক-গোপন আদালতে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিলের বৈধতা নিয়ে করা চ্যালেঞ্জের বিষয়টির শুনানি হয়।
আদালতের বিচারক বলেছেন, নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন না শামীমা বেগম। তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন না।
বিবিসি জানিয়েছে, আট বছর আগে আইএসে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ছেড়েছিলেন শামীমা। ২০১৯ সালে তার জন্য দেশটির দরজা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি দেশটিতে ফিরতে আদালতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই বান্ধবীসহ যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়ায় যান শামীমা। তারা বাংলাদেশি–অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ছাত্রী ছিলেন।
সিরিয়ায় পৌঁছে শামীমা ডাচ্ বংশোদ্ভূত আইএস জঙ্গি ইয়াগো রিদাইককে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালের দিকে তিনি একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। কিছুদিন পর শিশুটির মৃত্যু হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসে যোগ দেয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকার শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে তাকে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে।
জিহাদি বধূ হিসেবে সংবাদমাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া ২৩ বছর বয়সী শামীমা ২০১৯ সালে ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত খেলাফতের পতন হবার পর থেকেই সিরিয়ার একটি বন্দিশিবিরে বাস করছেন।
২০১৯ সালে বিতর্কের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, শামীমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক নন। তাকে বাংলাদেশে ফিরতে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।শামীমাও বিবিসির সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেই এবং তিনি কখনও বাংলাদেশে ছিলেন না।