বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরগুনায় জেলেদের ওপর হামলায় জড়িত চার জলদস্যু আটক চট্টগ্রামে

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৬:০৪

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘আটক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত জলদস্যুদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। তারা জানায়, মূল পরিকল্পনাকারী বিভিন্ন জায়গা থেকে জনবল সংগ্রহ করে, কিভাবে ডাকাতি করবে, কোথা হতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আসবে এবং ডাকাতির মালামাল কোথায় বিক্রয় করা হবে এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে।’

বরগুনার পাথরঘাটায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে জেলেদের ওপর হামলায় ৯ জেলে নিখোঁজ ও মালামাল লুটের ঘটনায় ৪ জলদস্যুকে আটক করেছে র‌্যাব।

বঙ্গোপসাগরের গন্ডামারা, বড়ঘোনা, বাংলাবাজার ও শৈলকুপা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মঙ্গলবার ভোরে তাদের আটক করা হয়।

আটক চার জন হলেন বাঁশখালীর পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকার ২৫ বছর বয়সী মো. কাইছার ওরফে কালু, একই এলাকার ৪০ বছর বয়সী মো. সেলিম, তার ১৫ বছর বয়সী ছেলে ইকবাল হোসেন এবং পূর্ব বড়ঘোনা এলাকার ২৫ বছর বয়সী মো. জাহেদ।

নগরীর চাঁদগাঁও ক্যাম্পে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মাহবুব আলম এসব তথ্য জানান।

মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘জেলেদের ওপর জলদস্যুদের হামলার পরপর র‌্যাব-৭, র‌্যাব-৮, র‌্যাব-১৫ এবং র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা যৌথভাবে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। একপর্যায়ে দস্যুতার সঙ্গে জড়িত একটি দল বাঁশখালী এলাকায় অবস্থান করছে এমন একটি সংবাদ পাই আমরা। এই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোররাতে উপজেলার গন্ডামারা, বড়ঘোনা, বাংলাবাজার ও শৈলকুপা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে আটক করা হয়।

‘তারা প্রাথমিকভাবে জলদস্যুতার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। তাদের কাছ থেকে ৪টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ২টি হাতুড়ি,৩টি দা, ১ টি কিরিচ, ২টি শাবল, ১টি মোবাইল, জাল এবং দস্যুতাবৃত্তিতে ব্যবহৃত বোট উদ্ধার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আটক চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত জলদস্যুদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। তারা জানায়, মূল পরিকল্পনাকারী বিভিন্ন জায়গা থেকে জনবল সংগ্রহ করে, কিভাবে ডাকাতি করবে, কোথা হতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আসবে এবং ডাকাতির মালামাল কোথায় বিক্রয় করা হবে এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে।’

আটক জলদস্যুদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ১০ ফেব্রুয়ারি বোট নিয়ে সমুদ্রে গিয়ে শুরুতে কক্সবাজার কুতুবদিয়া চ্যানেল একটি ডাকাতি করে। পরবর্তীতে পুনরায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে বরগুনা-পটুয়াখালি চ্যানেলে গিয়ে আরেকটি ডাকাতি করে। আটক চারজনের মধ্যে সেলিম বোটের মালিক হলেও সে ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল না। তবে তার ছেলে ইকবাল ডাকাতির ঘটনার দিন রাতে জলদস্যুদের বোটে অবস্থান করছিল।

কালু এবং জাহিদ বোটের সহকারী হিসেবে ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জেলেদেরকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছিল। ডাকাতি শেষে তারা কক্সবাজারের নুনিয়াছড়া, খুরুশখালী ফিশারীঘাটে ডাকাতির সরঞ্জামগুলো বিভিন্ন আড়তদারদের নিকট বিক্রয় করত।

কালুর বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় দুটি চুরির মামলা রয়েছে, তাছাড়া সেলিমের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলাসহ ৫টি মামলা রয়েছে।

আটক জলদস্যুদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা পূর্বে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, পেকুয়া, মগনামা, এবং কুতুবদিয়া এলাকার উপকূলীয় অঞ্চলে ডাকাতি করত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে তারা বর্তমানে এই এলাকা ছেড়ে বরিশাল, বরগুনা এবং খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থান করে ডাকাতি কার্যক্রম শুরু করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর