খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফ হোসেন মিঠুকে চাঁদাবাজি, হত্যা চেষ্টার মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
তাকে আদালতের মাধ্যমে সোমবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সকালের দিকে তার বিরুদ্ধে লবণচরা থানায় মামলা করেন মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
মামলার এজাহারে আরিফ হোসেনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। বাকিরা হলেন, হারুন, টুটুল, হযরত আলী, মজিবর, শামসু ও সুমন। এ ছাড়া মামলায় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, লবণচরা থানার মাথাভাঙ্গা এলাকায় মনিরুল ইসলামের জিসান গ্রীন বার্নিং ওয়েল ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরি নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
রোববার সন্ধ্যার পর কাউন্সিলর লোকজন নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভাঙচুর ও মারপিট করেছেন। এ ছাড়া ওই ঘটনার সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ হাজার টাকাও লুট করে নেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুই লাখ টাকার মতো ক্ষতি করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সকালে কাউন্সিলর ও মামলার মজিবর এবং শামসু গাজীকে লবণচরা থানায় হস্তান্তর করে খুলনা র্যাব-৬। দুপুরের দিকে তাদের আদালতে তোলা হবে। আদালত ওই তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুপুরের পর অন্য চার আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।’