বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবৃত্তির জন্য ডেকে নিয়ে ‘ধর্ষণ’, প্রশিক্ষক গ্রেপ্তার

  • প্রতিনিধি, পাবনা   
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:৫৯

মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে আবৃত্তি প্রশিক্ষক আসাদুল রশিদ মেয়েটিকে তার কার্যালয়ে ডেকে নেন। পরে মেয়েটিকে তিনি কয়েক দফা ধর্ষণ করেন। পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ এবং মেয়েটির ছবিও তুলে রাখেন তিনি।

পাবনায় কবিতা আবৃত্তি ও উপস্থাপনা প্রশিক্ষণের জন্য ডেকে নিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক আবৃত্তিকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার সকালে পাবনা শহরের রানা কমপ্লেক্সে শব্দকলা মাল্টিমিডিয়া সেন্টারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

গ্রেপ্তার হওয়া আবৃত্তিকারের নাম আসাদুল রশিদ। তিনি শহরে ‘পীর বাবু’ ও ‘আসাদ বাবু’ নামে পরিচিত। তার বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার সিংগা কারিগরপাড়ায়।

মামলার এজাহার ও মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসাদুল রশিদ নিজেকে আবৃত্তিকার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন। কিছুদিন আগে তিনি আবৃত্তি ও উপস্থাপনা শেখানোর জন্য রানা কমপ্লেক্সে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্টুডিও স্থাপন করেছেন। সেখানে কবিতা আবৃত্তি ও উপস্থাপনা শেখানো হবে বলে প্রচার করছিলেন। বিষয়টি জেনে ওই কলেজছাত্রী তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসাদুল রশিদ মেয়েটিকে তার কার্যালয়ে ডেকে নেন। এ সময় কার্যালয়ে তিনি একাই ছিলেন। পরে মেয়েটিকে তিনি কয়েক দফা ধর্ষণ করেন। পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ ও মেয়েটির ছবিও তুলে রাখেন তিনি। মেয়েটি বাড়িতে ফিরে পরিবারকে বিষয়টি জানান।

এ ঘটনায় মেয়েটির মা রোববার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে আসাদুল রশিদকে আসামি করে পাবনা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে রাতেই মেয়েটির স্বজনরা তাকে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

মেয়েটির মা জানান, ঘটনার পর থেকে তার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। এ অবস্থায় মেয়েকে নিয়ে তিনি খুব অসহায় হয়ে পড়েছেন। মা হিসাবে তিনি কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না। এ অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্দু বালা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আবৃত্তি শেখানোর ওই কার্যালয় পরিদর্শন করে। সেখান থেকে রক্তমাখা টিস্যু পেপারসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে সঙ্গে গ্রেপ্তার আসামিকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর