নিয়োগ বাণিজ্য বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অডিও ফাঁসের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দুপুর ১২টায় ইমেইলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাঠানো হয়েছে সাংবাদিকদের কাছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. আমানুর আমান।
কর্তৃপক্ষের লিখিত বক্তব্য বলা হয়েছে, একান্তই ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনা সংযোজন-বিয়োজন করে সোশ্যাল ও অন্যান্য মিডিয়ায় উপাচার্য নিয়োগ বানিজ্য করছেন এমন সব খবর প্রকাশ করা হচ্ছে।
আরও বলা হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগের মত একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে যখন একধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সত্য উদঘাটনের জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক একটি বিচার বিভাগীয় কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত ভিন্ন ভিন্ন কমিটি কাজ করছে ঠিক একই সময়ে উপাচার্যের স্ত্রীসহ একাধিক নামে ফেক আইডি খুলে সেখান থেকে এসব প্রকাশ করা হচ্ছে।
অডিওর বক্তব্যের যুক্তি খণ্ডন করে বলা হয়, কথিত নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিতই হয়নি। পরীক্ষার ব্যাপারে কোনো প্রশ্নপত্রই প্রণীত হয়নি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত নিয়োগ বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিতের ঠিক পূর্বেই তাৎক্ষনিকভাবে প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয় এবং সদস্যদের উপস্থিতিতে কম্পিউটারে তা চূড়ান্ত করে সীলগালা অবস্থায় পরীক্ষার হলে নিয়ে যাওয়া হয়। কথিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যাপারে এসবের কিছুই সম্পন্ন হয়নি। ইউজিসি প্রয়োজনে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে।
কাল্পনিক প্রচারণায় কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয় এই লিখিত বক্তব্যে।
এদিকে সোমবারও সকাল পৌনে ১০টায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে ইবি ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামের পদত্যাগের দাবিতে তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন অস্থায়ী চাকুরিজীবী পরিষদ। তারা এ সময় ভিসির কার্যালয় তালা দিয়ে রাখেন।
বিক্ষোভ শেষে তারা চলে গেলে বেলা ১১টার পরে তালা খুলে ভিসি এসে অফিস করেছেন।
এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে ভিসির কন্ঠসদৃশ অডিও ফাঁসের পর সোম ও বুধবারের তিনটি নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সভা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এইচ এম আলী হাসানের শনিবার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার মেডিক্যাল অফিসার পদের, ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও একই দিনে সাড়ে ১১টার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক পদের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সভা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। পরে তারিখ ও সময় জানানো হবে।