বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নরসিংদীতে কৃষক হত্যা: ফাঁসির ৭ আসামি খালাস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৪৯

বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। ওই আপিলের শুনানি শেষে সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করে উচ্চ আদালত।

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় সামসুল হক নামে এক কৃষককে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাতজনকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রায় ঘোষণা করে।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, নাজুমল হুদা ও সায়েম আলী পাঠান। পলাতকদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হাফিজুর রহমান খান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশরাফুল হক জর্জ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ আগস্ট রাতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সামসুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলামকে মারধর করে আসামিরা। পরে কৃষক সামসুল হক সেখানে গেলে তাকে ও তার ছেলেকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর সামসুলের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নুরজান বেগম বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি হত্যা ও জখমের মামলা করেন।

বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২২ মে নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি পাঁচজনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পলাশ উপজেলার গালিমপুর এলাকার আব্দুল গাফফার, মো. তোতা মিয়া, মো. আলেক মিয়া, শরীফ মিয়া, আরিফ মিয়া, মোছাম্মৎ রূপবান ও মারফত আলী।

পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আবদুল গাফফার, শরীফ মিয়া, আরিফ মিয়া, ফারুক মিয়া ও বাছির মিয়া।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

ওই আপিলের শুনানি শেষে সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করে উচ্চ আদালত।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশরাফুল হক জর্জ।

এ বিভাগের আরো খবর