রাজধানীর গুলশানে বহুতল ভবনে রোববার সন্ধ্যায় ধরা আগুনের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি সোমবার কাজ শুরু করে দিয়েছে।
আগুন ধরার কারণ জানা ও পরবর্তী সময়ে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সুপারিশ ও ভবন সংশ্লিষ্টদের দিকনির্দেশনা দেয়াই হলো তদন্ত কমিটির মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে এই দুর্ঘটনায় কারও দায় আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি সব দিক বিবেচনায় রেখেই তদন্তকাজ চালাবে।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল জানায়, বাহিনীর সদরদপ্তর থেকে গুলশানের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর বরাত দিয়ে মিডিয়া সেল আরও জানায়, কমিটির সদস্যদের লক্ষ্য বিকেল সাড়ে ৩টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তকাজ শুরু করা।
‘বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন’
গুলশান-২ এলাকার ভবনটিতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে সোমবার জানায় পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আবদুল আহাদ দুপুরে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে ভবনটি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে মালিকরা নিজ নিজ ফ্ল্যাটসহ সবকিছু বুঝে নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ভবনটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। ভবনের নির্মাণকাঠামো, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা—এসব বিষয় ঠিক ছিল কি না, তা সংশ্লিষ্ট সংস্থা খতিয়ে দেখবে।’
গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর রোডের ১২ তলা একটি ভবনের সপ্তম তলায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। রাত ১১টার দিকে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বাহিনীর ১৯টি ইউনিট।
আগুনে আনোয়ার হোসেন নামের এক বাবুর্চির মৃত্যু হয় রোববার রাতে, যিনি ভবন থেকে লাফ দিয়েছিলেন। সোমবার ভোরে সিকদার মেডিক্যালে রাজু নামে আরও এক বাবুর্চির মৃত্যু।
গুলশান জোনের ডিসি আবদুল আহাদ জানান, রাজু ভবনের ১১ তলায় থাকতেন। আগুন ধরার পর তিনি লাফিয়ে পড়ে আহত হন।