বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ময়মনসিংহের ৫ যুদ্ধাপরাধীর যাবজ্জীবন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১২:০৩

২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

একাত্তরেরর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের পাঁচ যুদ্ধাপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামসহ তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেয়। এটি ট্রাইব্যুনালের ৫১ তম রায়।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে গোলাম সাব্বির,হরমুজ আলী ও আব্দুস সাত্তার কারাগারে আছেন। বাকি দুই আসামি পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের ত্রিশালে হত্যা ও অপহরণসহ ছয়টি অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। এই মামলায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ এ হান্নানসহ তিনজন বিচার চলা অবস্থায় মারা যান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।

২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

তদন্ত সংস্থার আনা অভিযোগ

প্রথম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ময়মনসিংহের গোলকীবাড়ী বাই লেনের প্রখ্যাত ভাস্কর আব্দুর রশিদকে অপহরণ, নির্যাতনের পর জিপের পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে টেনেহিঁছড়ে নির্মমভাবে হত্যা ও লাশ গুম।

দ্বিতীয় অভিযোগ: একাত্তরের ২ অগাস্ট ত্রিশাল থানার বৈলর হিন্দুপল্লী ও মুন্সিপাড়ায় অগ্নিসংযোগ, সেন্টুকে গুলি করে হত্যা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের দুজনকে গুলি করে আহত, শহীদ আবদুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গুলি করে হত্যার ঘোষণা।

তৃতীয় অভিযোগ: একাত্তরের ৭ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে বৈলরের আ. রহমান মেম্বারকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম।

চতুর্থ অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে খন্দকার আব্দুল আলী রতনকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম।

পঞ্চম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে মো. আবেদ হোসেন খানকে আটক, নির্যাতন ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর। এ ছাড়া ৭ থেকে ১০ আগস্টের মধ্যে কে এম খালিদ বাবুকে অপহরণ, আটক ও নির্যাতন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা ময়মনসিংহ শহরের জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল, অভিযুক্ত এম এ হান্নানের রামবাবু রোডের ৫৯ নম্বর বাড়িকে ‘টর্চারসেল’ হিসেবে ব্যবহার করতেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর