বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ডাকাতের কবলে পড়ে নিখোঁজ নয়জন জেলের মধ্যে চার জনের সন্ধান মিলেছে। ওই চারজন জেলেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় অন্য একটি জেলে ট্রলার উদ্ধার করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী এ বিষয় নিশ্চিত করে জানান, বরগুনার তালতলী উপজেলার একটি জেলে ট্রলার চারজন জেলেকে সাগরে ভাসমান দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেছে। তাদেরকে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে নিয়ে আসা হচ্ছে। বাকি পাঁচ জন জেলের ভাগ্যে কি ঘটেছে বলা যাচ্ছে না।
মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ধারণা কাউকে গুলি করে সাগরে ফেলে দেয়ার দৃশ্য দেখে জেলেরা প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে থাকতে পারে। অন্যরাও হয়তো অপর কোনো জেলে ট্রলারে উদ্ধার হয়ে থাকতে পারে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা অসুস্থ। তাদের তীরে আনার পর চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এফবি ভাই ভাই নামের মালিকানাধীন ওই ট্রলারটি ১৮ জেলে নিয়ে পাথরঘাটা থেকে বঙ্গোপসাগরে যাত্রা শুরু করেন। রাত আড়াইটার দিকে পায়রা বন্দর বয়া এলাকায় ডাকাতের হামলার শিকার হন । এ সময় জেলেদের কুপিয়ে জখম করে প্রায় ৫ লাখ টাকার রসদ সামগ্রী লুটে নিয়ে যায় দস্যুরা।
শনিবার রাত আটটার দিকে ডাকাতের কবলে পড়া ট্রলারসহ ৯ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। তারা গুরুতর জখম অবস্থায় ছিল।
ঘটনার পরপরই নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড এই তিন বাহিনীর সমন্বয়ে উদ্ধারাভিযান শুরু হয়।
দক্ষিণ জোন কোস্ট গার্ডের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট এম হাসান মেহেদী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি চারজন জেলে তালতলী উপজেলার একটি ট্রলারে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। তাদেরকে পাথরঘাটা নিয়ে আসা হচ্ছে। পাথরঘাটা আসার পর উদ্ধার জেলেদের নাম জানা যাবে। বাকিদের উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
র্যাব-৮ কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান জানান, চার জেলে একটি ট্রলারে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। বাকিদের সন্ধান ও ডাকাত দলটি আটকে অভিযান চলছে।