বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইবির ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন

  • প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া   
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১০:০০

কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক শাহবুব আলম বলেন, ‘কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বসে আলাপ করে সোমবার থেকেই কাজ শুরু করে দেবেন।’

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ. ন. ম. আবুজর গিফারী, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহবুব আলম।

জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শাহেদ আরমান জানান, রোববার বিকেলে উচ্চ আদালতের নির্দেশ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলামের কাছে এসে পৌঁছালে তিনি রাতেই এ কমিটি গঠন করেন।

কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক শাহবুব আলম বলেন, ‘কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বসে আলাপ করে সোমবার থেকেই কাজ শুরু করে দেবেন।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে এক নবীন শিক্ষার্থীকে। এ ঘটনায় একটি রিটের প্রেক্ষিতে এ ধরনের কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেয় হাইকোর্ট।

এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ও ওই হল কর্তৃক গঠিত দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির প্রধান আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেবা মন্ডলের নেতৃত্বে ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি দিনভর নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। অন্য ছাত্রীদেরও কথা শুনেছে। তদন্ত কমিটির কাছে জবানবন্দী দিয়ে আবার বাড়ি ফিরে গেছেন ওই ছাত্রী।

সোমবার অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনার জন্য ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী ফিনান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্রী তাবাচ্ছুম ইসলামকে ডাকা হয়েছে।

অভিযোগে নবীন ওই ছাত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা নির্যাতন চালিয়েছেন। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল, ময়লা জিনিসপত্র জিহ্বা দিয়ে চাটানোসহ অমানবিক নির্যাতন করেন।’

পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে খুব সকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়িতে চলে যান ওই শিক্ষার্থী।

পরে বাংলাদেশের হাইকোর্ট এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর নিরাপত্তা দেয়া, নির্দিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন ও অভিযুক্ত ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রেখে তদন্ত কাজ চালানোর আদেশ দেন। এরপরই গত বৃহস্পতিবার সহযোগী তাবাচ্ছুম ইসলামসহ অন্তরাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়।

এদিকে, অভিযুক্ত ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি বলছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

এ বিভাগের আরো খবর