ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রথমে ইমারজেন্সিতে ঢুকতে গেলে কোনো সাংবাদিক ঢুকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন সিকিউরিটি গার্ড। অনুরোধের পর ঢুকতে দিলেও অনেক্ক্ষণ অপেক্ষা করলেও কেউ তথ্য দিতে চান না।
কাস্টমার সার্ভিস থেকে মো. নাসির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৭ জন ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৬ জন আইসিইউতে।’
পরে তিনি ডিউটি ম্যানেজার সানাউল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তার কথায় পাওয়া যায় গরমিল। তিনি বলেন, আটজন ভর্তি আছেন। কেউ গুরুতর নন।
তাহলে ৬ জন আইসিইউতে আছেন বলা হলো কেন- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সবাইকে প্রথমে আইসিইউতেই রাখা হয়। বেডে দেয়া হবে। এখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হবে।’
আইসিইউতে কিভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা হয় সে প্রশ্ন এড়িয়ে তথ্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে চলে যান তিনি।
এদিকে একজন ভর্তি রোগীর স্বজনকে দেখা যায় উদ্বিগ্ন অবস্থায়। তার কাছে রোগীর অবস্থা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি কোনো কথা বলতে পারবো না।’
ডিউটি অফিসারদের কথায় জানা যায়, দুইজনকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে শিফট করা হচ্ছে।
১৬ বছর বয়সী রোজিনার চাচা ফারুক জানালেন, তার ভাতিজি ওই ভবনের বাসায় কাজ করতো। সেই বাসার চার সদস্য চারতলা থেকে লাফ দেন। এতে একজন মারা যান। বাকি দুজন সিকদার মেডিক্যালে আছেন। ভাতিজি রোজিনা ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে আছে। তার অবস্থা গুরুতর।
তদন্ত কমিটি
গুলশানের আগুন নিয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
সদস্য হিসেবে থাকবেন উপপরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স), সহকারী পরিচালক, ঢাকা; গুলশান জোনের উপসহকারী পরিচালক এবং স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।