বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুপিয়ে হত্যা, প্রতিবাদে ২০ বাড়িতে আগুন

  • প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ   
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:৪৭

গৌরীপুরের পাঁচাশি গ্রামে সাজ্জাদুল হক নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার পর নিহতের স্বজনরা ২০ বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন দিয়ে ঘর পুড়িয়ে দেয়।

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন নিয়ে বিরোধে সাজ্জাদুল হক নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিনজন। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের পাঁচাশি গ্রামে রোববার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

৫৫ বছর বয়সী নিহত সাজ্জাদুল হক একই গ্রামের মো. তাহির উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের প্রায় ২০টি বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে নিহতের স্বজনরা।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান মজুমদার।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩০০ একর জমিতে বোরো আবাদ করার জন্য একটা ট্রান্সফরমারের আবেদন করেন সাজ্জাদুল হকের বড় ভাই এনামুল হক। সে অনুযায়ী পিডিবি ট্রান্সফরমার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় একটি পক্ষ এতে বাধা দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে ঝামেলা হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল আমিন জনি বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তা মানেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোববার দুপুর ১২টার দিকে পিডিবির ঠিকাদার শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় রায়হান, শিমুল, উজ্জ্বল, সুজন, বাবুলসহ কয়েকজন মিলে ঠিকাদারকে খুঁটি স্থাপনে বাধা দেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে সাজ্জাদুল হকসহ তার অনুসারী কয়েকজন ঘটনাস্থলে গেলে তারা দা-বল্লম নিয়ে হামলা চালায়। তারা সাজ্জাদুল হকসহ চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে বিকেল তিনটার দিকে সাজ্জাদুল হককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।’

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনার পর প্রতিপক্ষের প্রায় ২০টি বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে নিহতের স্বজনরা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল আমিন জনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হলে আমি মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ তা মানেনি। ফলে দুই পক্ষ এমন সংঘাতে জড়িয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর