রাজধানীর গুলশান ২-এ একটি ১২ তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট। উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর দুটি দল। ফায়ার সার্ভিসকে পানি সরবরাহে সহায়তা দিচ্ছে ঢাকা ওয়াসা।
রোববার সন্ধ্যায় আগুন লাগার পর একে একে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। তবে আগুন ভয়াবহতা বাড়তেই থাকে। এ অবস্থায় উদ্ধার কাজে অংশ নিতে বিমান বাহিনীর একটি দল এসে যোগ দিয়েছে।
পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
আইন-শৃঙ্খলা ও আতঙ্কিত মানুষজনকে নিয়ন্ত্রণ করে অগ্নিনির্বাপন ও উদ্ধার কাজ চালাতে সহায়তা করছে পুলিশ ও র্যাব।
উদ্ধার কাজ তদারকি ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়টি দেখভাল করতে ঘটনাস্থলে এসেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আগুন লাগা ভবনটি থেকে আতঙ্কে লাফিয়ে পড়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। শরীর থেতলানো।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তৎপরতা। ছবি: নিউজবাংলা
আগুনের এ ঘটনায় কমপক্ষে চারজন আহত হওয়ার খবর মিলেছে। রাত ১১টা পর্যন্ত ওই ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শিশু ও নারীসহ ২২জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি তারা। ভবনটির বাসিন্দারাও বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন নিউজবাংলাকে বলেন, গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর রোডের ২/এ, ভবনের ৭ তলায় আগুন লেগেছে। এটি নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১৯টি ইউনিট কাজ করছে।
১২ তলাবিশিষ্ট ভবনটি পুরোটাই আবাসিক। রাত ১১ পর্যন্ত ভবনটি থেকে নারী-শিশুসহ ২২জনকে উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
আপাতভাবে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।