বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রী নির্যাতন: ইবির সেই হলে ১৯৭০ সালের ফুটেজ!

  • প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া   
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৯:১৫

অভিযুক্ত ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ফুটেজ দেখতে দিয়ে সেখানে ১৯৭০ সাল লেখা দেখা গেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফুটেজে এত পুরোনো তারিখ দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক ড. আহসানুল আম্বিয়া।

তিনি বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ আমাদের রিকভারি করতে বলেছে। সেখান থেকে ফুটেজ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সিসি ক্যামেরা ও এর যন্ত্রপাতি হল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই ইনস্টল করেছিল। কবে বায়োসের ব্যাটারি নষ্ট হয়েছে তা তারা বুঝতে পারেনি। কারণ এই ব্যাটারি নষ্ট থাকলেও মনিটরে সিসি ফুটেজ দেখা যায়।

ড. আহসানুল আম্বিয়া বলেন, ওই ব্যাটারির মাধ্যমে সিসি ফুটেজে তারিখ ও সময় দেখা যায়। সেটি নষ্ট থাকায় ইনিশিয়াল ডেট চলে গেছে।

ঘটনার দিন রাতে গণরুম ও ডাইনিংয়ে কী ঘটেছিলো তা খতিয়ে দেখতে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির প্রধান আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল।

তিনি বলেন, হল কর্তৃপক্ষ তার কাছে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছেন।

এদিকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শামসুল আলম রবিবার দুপুরে বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আমরা এখনো ফুটেজ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। হার্ডডিস্কে ট্রাবল হওয়ায় ফুটেজ শো করছে না। দুই-একদিনের মধ্যে সব পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই হলে মোট ১২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে এক নবীন শিক্ষার্থীকে। ওই ছাত্রী অভিযোগে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা নির্যাতন চালিয়েছেন। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল, ময়লা জিনিসপত্র জিহ্বা দিয়ে চাটানোসহ অমানবিক নির্যাতন করেন।

পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে খুব সকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়িতে চলে যান ওই শিক্ষার্থী। ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই হলে এসে তদন্ত কমিটির কাছে জবানবন্দি দিয়ে আবার বাড়ি ফিরে গেছেন।

এদিকে, অভিযুক্ত ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

এ ঘটনার সহযোগী তাবাচ্ছুম ইসলামসহ অন্তরাকে গত বৃহস্পপতিবার হল থেকে বের করে দেয়া হয়। সোমবার তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য হলে আসতে বলেছেন তদন্ত কমিটি।

এ বিভাগের আরো খবর