বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৮ বছর পালিয়ে ধর্ষণের আসামি, ছদ্মনামে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৫৬

১৯৯৫ সালে ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই পালিয়ে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আ. রাজ্জাক ওরফে জাকির হোসেন। তিনি ছদ্মনামে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়েছেন।

নেত্রকোনা কলমাকান্দায় প্রায় ২৮ বছর আগে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পরে রোববার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, ১৯৯৫ সালে ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই পালিয়ে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আ. রাজ্জাক ওরফে জাকির হোসেন। তিনি ছদ্মনামে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র বানিয়েছেন।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, রাজ্জাক ১৯৯৫ সালে ঘটনার পরপরই নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এসে কিছুদিন রিকশাচালক হিসেবে আত্মগোপনে থাকে। এখান থেকে পালিয়ে তিনি উত্তরায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আত্মগোপনে থাকেন এবং সিএনজি চালায়।

তিনি বলেন, এরপর সেখানে ৬ বছর থাকার পর ধরা পড়ার ভয়ে তিনি গাজীপুরের গাছা এলাকায় গা-ঢাকা দেন। সেখানে জাকির হোসেন ছদ্মনাম দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করে এবং দাড়ি ও চুল বড় রেখে নতুন পরিচয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন তিনি। এভাবে প্রায় ২৮ বছর আত্মগোপনে থাকার পর রাজ্জাক গ্রেপ্তার হন।

র‌্যাব জানিয়েছে, ১৯৯৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাজ্জাক ১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় তাকে। ঘটনার ৬ দিন পর পাউরা হাওর থেকে উদ্ধার করা হয় মরদেহ।

র‍্যাব আরও জানায়, ২০০২ সালে আদালত খুনসহ ধর্ষণের অপরাধে রাজ্জাকসহ ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও আরও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। ১২ জন আসামির মধ্যে ২ জন জেল হাজতে মারা যান, ৮ জন বর্তমানে জেলে ও একজন পলাতক রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর