বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রলারে ডাকাতি: নিখোঁজ ৯ জেলে বেঁচে আছেন কি?

  • প্রতিনিধি, বরগুনা   
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৪৮

ট্রলারটির মালিক মনির হোসেন জানান, নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছেন। নিয়মিত তাকে মুঠোফোনে কল করে তারা কান্নাকাটি করছেন। তিনি ওই জেলেদের সন্ধানে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগীতা চেয়েছেন।

গভীর বঙ্গোপসাগরে ডাকাতের কবলে পড়া বিকল ট্রলার ও তাতে থাকা আহত নয় জেলের সন্ধান মিলেছে। তবে এঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের সঙ্গে কি ঘটেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পরিবার উদ্বেগ উৎকন্ঠায় সময় কাটাচ্ছে।

বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এফবি ভাই ভাই নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার শুক্রবার ডাকাতদের কবলে পড়ে।

জেলা ট্রলার মালিক সমিতি সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েছেন, শনিবার রাত আটটার দিকে মো. মিরাজ হোসেন, আফজাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, মো. রায়হান, আবদুল করিম, খোকন মিয়া, নুর মোহাম্মদ, মধু মিয়া ও আব্দুল হকসহ বিকল ট্রলারটি উদ্ধার করে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে আবদুল হক ও মো. মধু মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, বাকিদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা চলছে।

ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন, ট্রলারে থাকা কাইউম জোমাদ্দার (মাঝি), ইয়াছিন জোমাদ্দার, আবুল কালাম, শফিকুল ইসলাম (সহকারি মাঝি), খাইরুল ইসলাম,, আবদুল আলীম, ফরিদ, আবদুল হাইসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজন নিখোজ রয়েছেন। এসব জেলেদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা, তালতলী ও আমতলী এলাকায়।

এই নয়জন জেলের বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘ফিরে আসা জেলেদের কাছে শুনেছি, ডাকাতদল ট্রলারে উঠেই এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করে। এক পর্যায়ে নয়জন জেলেকে বেঁধে রেখে মালামাল লুট করে চলে যায়। বাকি জেলেদের জিম্মি করেছে নাকি ওরা সাগরে ঝাঁপ দিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলে পারছি না। তবে খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করছি।’

ডাকাতদের কবল থেকে ফিরে আসা জেলে আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের খোন্দলে ( বরফ ও মাছ রাখার জায়গায়) ঢুকিয়ে ঢাকনা দিয়ে আটকে রাখা হয়। ওপরে কি ঘটেছে আমরা কিছু দেখতে পারিনি। তবে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছি। পরে ওরা চলে যাওয়ার পর বাকি নয় জেলেকে খুঁজে পাইনি। আমাদের ধারণ ওরা দু একজনকে গুলি করেছে। গুলির ভয়ে বাকিরা সাগরে ঝাঁপ দিয়েছে। আবার এমনও হতে পারে তাদের জিম্মি করেছে ডাকতরা। মুক্তিপণ চাইলে আমরা নিশ্চিত হতে পারব।’

ট্রলারটির মালিক মনির হোসেন জানান, নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছেন। নিয়মিত তাকে মুঠোফোনে কল করে তারা কান্নাকাটি করছেন। তিনি ওই জেলেদের সন্ধানে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগীতা চেয়েছেন।

র‍্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদ বলেন, ‘নিখোঁজ জেলেদের খোঁজে আমাদের একটি চৌকশ দল কাজ শুরু করেছে। সন্ধান পেলে অবশ্যই জানানো হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর