দায়িত্ব পালনে সাংবাদকর্মীদের সর্বাবস্থায় সহযোগিতা করাসহ নেতা-কর্মীদের জন্য ১০টি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগ।
রোববার দুপুরে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
১০ নির্দেশনা
১. সাংগঠনিক কর্মসূচি ও নির্দেশনার বাইরে ব্যক্তিগত ও দলবদ্ধ যেকোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকা।
২. বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলোতে শতভাগ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হওয়া। পরিবেশ নষ্ট হতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না হওয়া।
৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি উদ্যোগ-আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে স্বতঃস্ফূর্ত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভূমিকা রাখা।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ নির্মল-মনোরম রাখতে সব ধরনের ব্যক্তিগত ব্যানার, ফেস্টুন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
৫. মোটরসাইকেলে শোডাউন, উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, সাউন্ড সিস্টেমের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার না করা।
৬. আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত, সুশৃঙ্খল আবাসন ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য নিশ্চিতে ভূমিকা রাখা।
৭. বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল অন্য প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, বাস কমিটির সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ও সদ্ভাব বজায় রাখা।
৮. দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের সর্বাবস্থায় সহযোগিতা করা।
৯. ধর্মীয় উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানো, অপরাধমূলক প্রবণতা, মাদক সংশ্লিষ্টতায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করা।
১০. সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি, নিরাপত্তা বিঘ্নকারী, বেআইনি কর্মকাণ্ড, ইভটিজিং, র্যাগিংয়ের মতো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না হওয়া।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ‘অনুকরণীয়’ ও ‘নির্ভরশীল’ বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।