বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অজ্ঞান না করে’ অস্ত্রোপচার, অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু

  • প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ   
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২৩:১১

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল কুদ্দুসকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ময়মনসিংহে অজ্ঞান না করেই কিডনির অস্ত্রোপচারের ঘটনায় যমজ সন্তানসহ রেখা আক্তার (২০) নামে এক অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই চিকিৎসকসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

মৃত রেখার স্বামী মাহবুব আলম বাদী হয়ে শনিবার বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন।

আসামিরা হলেন- পেশেন্ট কেয়ার ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিক মিয়া (৩৫), অমিত বাবু (৩০), ডা. মো. আশরাফুল হক মোল্লা (৪৫). ডা. আরিফ রব্বানী (৩১), মেহেদী (২৭) ও মো. তারেক মিয়া (৩০)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী মাহবুব আলম ত্রিশাল উপজেলার আমিয়ান ডাঙ্গুরী গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী রেখার গর্ভে ১৩ সপ্তাহের জমজ সন্তান ছিল।

সম্প্রতি রেখা আক্তার কিডনিতে ব্যথা অনুভব করেন। এ অবস্থায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ শহরের মেহেদী হাসান নগরীর চরপাড়ার ব্রাহ্মপল্লী এলাকার পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসা হয়। পরে ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও অমিত বাবুর সঙ্গে কিডনির পাথর অপসারনের জন্য ৯৪ হাজার টাকার চুক্তি করা হয়।

এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম দেন বাদী মাহবুব । পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১টার দিকে চিকিৎসকরা রেখা আক্তারকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। অপারেশন করে পোস্ট অপারেটিভ রুমে রাখার ঘণ্টাখানেক পরেও রেখার জ্ঞান না ফিরলে তার স্বজনরা কান্নাকাটি শুরু করেন। ক্লিনিকে কর্তব্যরত কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, রোগীর অ্যানেস্থেসিয়ায় একটু সমস্যা হয়েছে, তাই এমন হচ্ছে।

পরে রাত ৩টার দিকে ডা. মো. আশরাফুল হক মোল্লা ও ডা. আরিফ রব্বানী ক্লিনিকে এসে অ্যাম্বুলেন্স করে রেখা আক্তারকে জোর করে চুরখাই কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে নিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর সেখান থেকে আবার পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের মেরে মরদেহ গুম করার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় সকাল হয়ে গেলে মরদেহ ক্লিনিকের সামনে রেখে বিচার দাবি করেন স্বজনরা। পরে স্থানীয়রা ক্লিনিক ঘেরাও করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চলছে।এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল কুদ্দুসকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর