বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘৭০ বছরেও বাংলা আইনের ভাষা না হওয়াটা লজ্জার’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:২৪

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি মো. আবদুল মতিন বলেন, ‘চাইলে রাতারাতিই আদালতের সর্বস্তরে বাংলার প্রচলন করা সম্ভব। এটা জনগণকে ভয়াবহভাবে চাইতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

‘আমাদের মাঝে আজও কলোনিয়াল মানসিকতা রয়ে গেছে। সর্বস্তরে বাংলার বিষয়েও প্রতিকূল পরিবেশ। ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পরও বাংলা আইনের ভাষা না হওয়াটা লজ্জাজনক। আদালতের ভাষা বাংলা করা গেলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।’

‘আদালতের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে শনিবার এই আলোচনার আয়োজন করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আদালতের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের দাবি আরও জোরালো করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারেও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহিদ ফেরদৌসী।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, আদালতের ভাষা হচ্ছে বিচার কার্যক্রমে ব্যবহৃত ভাষা। বিচারপ্রার্থী মানুষের মুখের ভাষায় তথা রাষ্ট্রভাষায় রায় দিলে শুধু আইনের সাহায্য নয়, প্রত্যেক নাগরিকের জন্য আইনের কাছে যাওয়ার সুযোগ সহজ হবে। ভাষা দুর্বোধ্য হলে সে ভাষাতে অধিকার সংরক্ষিত হয় না। সীমাবদ্ধতা থাকলেও উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষার ব্যবহার এগিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এর আরও উন্নতি হবে বলে আশা করছি।

মূল প্রবন্ধের পর আলোচনায় সভায় আপিল বিভাগের সাবেক বিচারক বিচারপতি মো. আবদুল মতিন বলেন, ‘চাইলে রাতারাতিই আদালতের সর্বস্তরে বাংলার প্রচলন করা সম্ভব। এটা জনগণকে ভয়াবহভাবে চাইতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে (ইশতেহার) বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘ইংরেজি ভাষার বাস্তবতাকে মাথায় রাখতে হবে। আর আদালতের ভাষা কতটুকু সহজবোধ্য করা যায় সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।’

আলোচিত মাসদার হোসেন মামলার বাদী সাবেক জেলা জজ মাসদার হোসেন বলেন, ‘ভাষা নিয়ে উচ্চ আদালত একটা রুল দিলেই তা মানতে বাধ্য সব আদালত। সরকার এটা করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ড. মো. শাহজাহান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্ল্যানিং এডিটর আসজাদুল কিবরিয়া, কলামিস্ট ও লেখক ফারুক ওয়াসিফ, লেখক ও প্রাবন্ধিক ফিরোজ আহমেদ, রাখাল রাহা প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর