কক্সবাজারে বেড়াতে এসে আট মাসের মেয়ে সন্তানকে বালতির পানিতে চুবিয়ে আর স্ত্রীকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন জেবিন দে ওরফে দুলাল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতু এলাকায় জেবিনকে আটক করা হয়। পরে শনিবার সকালে তাকে কক্সবাজার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশের ভাষ্য, জিজ্ঞাসবাদে আট মাসের সন্তানকে বালতির পানিতে চুবিয়ে আর স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন জেবিন। ঠিক কী কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জেবিনের পাশাপাশি তার বাকি দুই সন্তানকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত সুমা দে ও শিশুকন্যার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো তাদের মরদেহ নেয়ার জন্য কোনো স্বজন আসেননি।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে কলাতলীর সী আলিফ নামের আবাসিক হোটেলের ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলটিতে ওঠেন জেবিন।