আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মিঠামইন সেনানিবাস উদ্বোধন হবে বলে জানা গেছে। হাওরের এ সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিঠামইন সেনানিবাস এলাকা শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেনেন্ট জেনারেল ওয়াকার উজ জামান রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। পরিদর্শনের সময় সেনানিবাসের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেনানিবাস উদ্বোধন করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
রাষ্ট্রপতির জ্যেষ্ঠপুত্র কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মিঠামইন সেনানিবাস উদ্বোধনের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনানিবাস উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওই সময় কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খানসহ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জুমার নামাজের পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিঠামইনের কামালপুরে তার বাবা হাজী মো. তায়েব উদ্দিন এবং মা তমিজা খাতুনের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
তিনদিনের সফর শেষ করে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থেকে ঢাকায় ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শুক্রবার বিকেলে মিঠামইন হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় ফিরে যান তিনি।
তিনদিনের সফরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় এবং স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন।