বিদেশিরাও একদিন বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসবেন এবং সেদিন বেশি দূরে নয় বলে আশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুরে এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মিলনায়তনে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা করেছেন বাংলাদেশের একটি মানুষও যেন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা না নেন। আমরা আশা করছি সেই দিন বেশি দূরে নয়, যে দিন বাইরের দেশের মানুষ চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশে আসবেন।
‘প্রধানমন্ত্রীর এই আশা পূরণ করতে পারবেন আমাদের দেশের চিকিৎসক, নার্সসহ সবাই। তবে তাদের উপস্থিতি শতভাগ করতে হবে। কারণ অনেক হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের উপস্থিতি খুব ভালো নয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সব হাসপাতালে হাজার হাজার কোটি টাকা দামের মেশিন রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করলে নষ্ট তো হবেই। কিন্তু নষ্ট হলেও সেগুলো মেরামত করে কাজে লাগাতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে চায়। সেবা দিয়ে মন জয় করতে চায়। বাংলাদেশে আগে এত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছিল না। মাত্র ৮টা মেডিক্যাল কলেজ ছিল। এখন সরকারিভাবেই মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে ৩৭টি। আর বেসরকারিভাবে ৭০টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে বাংলাদেশে। দেশে অনেক ইনস্টিটিউট হয়েছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি জেলা শহরে একটি করে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক জেলায় মেডিক্যাল কলেজ হয়ে গেছে। আর কিছু জেলায় বাকি রয়েছে, সেগুলোও স্থাপন করা হবে। ৮টি বিভাগীয় শহরের মধ্যে ৫টিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমাদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে, বিদ্যুৎ দিচ্ছে, খাবারের ব্যবস্থা করছে, রাস্তা-ঘাট মেরামত করে দিচ্ছে। তাই আমি মনে করি আপনাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাকতে হবে।
‘দেশে হানাহানি, মৌলবাদের উত্থান, বোমাবাজি হোক, আগুন সন্ত্রাস হোক, এই ধরনের অবস্থা আমরা চাই না। আমরা চাই সঠিক নেতা। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হোক। মানুষ যেখানে সুখে থাকে, শান্তিতে থাকে সেই কাজ আমরা করতে চাই। এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা, অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, খাদ্য, শিক্ষা দিতে পারি এই জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বক্তব্য দেন।সভার আগে মন্ত্রী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। তার আগে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি।