তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ শ্রমিক পাঠাতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার সকালে সিলেটে সাংবাদিকদের একটি কর্মশালার উদ্বোধন শেষে তিনি এমনটি জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক পাঠানোর বিষয়টি এরইমধ্যে তুরস্ককে জানানো হয়েছে। উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পর তারা এ বিষয়ে আমাদেরকে জানাবে বলে জানিয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য আমাদের যে সব দল তুরস্কে আছে তাদের আরও কিছু সময় সেখানে রাখার অনুরোধ করেছে দেশটির সরকার। বাংলাদেশ এতে রাজি হয়েছে।
এছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকেও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
এর আগে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাত আমাদের দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতের সব চাহিদা দেশে উৎপাদিত পণ্য দিয়েই পূরণ করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এ খাতে আরও উন্নয়নের জন্য সরকার প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে।
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, প্রাণিসম্পদের স্বার্থে আমরা মিথেন গ্যাস কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাতে (এসডিজি) স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করব।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক রবি কিরণ সিংহের পরিচালনায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি)-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এনামুল হাবীব, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আহসান বুলবুল,প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মারুফ হাসান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী, এলডিডিপি’র কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট জিল্লুর রহমান এবং ‘পরিপ্রেক্ষিত’র পরিচালক সৈয়দ বুরহান কবীর।