বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশ পাড়ি রোহিঙ্গাদের

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০৮:২৯

উপপুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘পাসপোর্ট তৈরি করে প্রায় সবাই ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব যেতে চায়। পুরো প্রক্রিয়াটি প্যাকেজের মত। তাদের আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে সৌদি আরব থাকে, তাই তারা সেখানে যেতে চায়।’

মায়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি ও বিদেশ পাঠাতে কাজ করছে একটি চক্র। এ চক্রের মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি, ভিসা ও বিদেশ পৌঁছাতে রোহিঙ্গাদের খরচ হয় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা।

নিজের নাম আর ছবি ছাড়া আর কিছুই প্রয়োজন হয়না পাসপোর্ট তৈরির কাজে। বাবা মায়ের নাম থেকে শুরু করে স্থায়ী ঠিকানা সবই ভুয়া। বাকিসব চট্টগ্রামে হলেও পাসপোর্টের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে রোহিঙ্গাদের ঢাকায় নিয়ে যেত চক্রটি।

মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, এ চক্রের মূলহোতাসহ চার সদস্য ও পাসপোর্টের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে যাওয়ার পথে বুধবার দুই রোহিঙ্গাকে আটকের পর এসব তথ্য জানতে পারে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন, চক্রের মূলহোতা সাতকানিয়ার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী মো. খসরু পারভেজ ও তার সহযোগী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার ৪০ বছর বয়সী মো. তসলিম, লোহাগাড়ার আধুনগর এলাকার ২০ বছর বয়সী মো. ইসমাইল এবং পটিয়ার আশিয়া এলাকার ২৭ বছর বয়সী মো. ফারুক। দুই রোহিঙ্গা হলেন ২৫ বছর বয়সী মো. জাবের ও ২৭ বছর বয়সী রজি আলম।

সংবাদ সম্মেলনে উপপুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘সম্প্রতি বিদেশ যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে আসাদুল্লাহ নামের এক হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর তার পাসপোর্ট পাওয়ার বিষয় অনুসন্ধান করতে গিয়ে এ চক্রের সন্ধান পাই আমরা।

‘চক্রের খোঁজ করতে গিয়ে শুরুতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গরীব উল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের সামনে থেকে দুই রোহিঙ্গাসহ পারভেজকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে পারভেজকে জিজ্ঞাসাবাদে তার বাকি তিন সহযোগীকে আটক করা হয়।’

তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিজস্ব লোকজনের মাধ্যমে বিদেশ যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের সংগ্রহ করত চক্রটি। রোহিঙ্গাদের শুধু নামটি সংগ্রহ করে বাকি সব ভুয়া দিয়ে দিত। ঢাকায় পাসপোর্ট অফিসের বাইরে তাদের লোক থাকে। সবশেষে ঢাকায় নিয়ে নিজস্ব লোকের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিত তারা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট তৈরি করে প্রায় সবাই ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব যেতে চায়। পুরো প্রক্রিয়াটি প্যাকেজের মত। তাদের আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে সৌদি আরব থাকে, তাই তারা সেখানে যেতে চায়।’

চক্রের আরও বেশ কয়েকজন সদস্য থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। ওই সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আটক ছয়জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর