সুন্দরবনের পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় বাঘ গণনার জন্য স্থাপিত ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়েছে। ওই এলাকায় জেলেদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সুন্দরবনে বাঘ গণনার জন্য ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে বনের বিভিন্ন স্থানে এসব ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সাধারণত বাঘের বসবাসের এলাকা শনাক্ত করে প্রতি চার বর্গ কিলোমিটারে দুইটি করে ক্যামেরা বসানো হয়। সেখানে টানা ৪৫ দিন ক্যামেরা রাখা হয়। তবে ব্যাটারির পরিবর্তন করার জন্য ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর বনকর্মীরা সেখানে গিয়ে ক্যামেরা পরীক্ষা করে আসেন।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার (এসও) নূর আলম জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জে বাঘ গণনার জন্য ইতোমধ্যে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। তবে নোটাবেঁকী অভায়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়ে গেছে।
এদিকে সুন্দরবনে বাঘ গণনার জন্য স্থাপিত ক্যামেরা চুরির ঘটনায় অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাতক্ষীরা রেঞ্জের দুটি স্টেশন হতে জেলেদের বনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় দিন থেকে কৈখালী ও কদমতলা স্টেশন থেকে জেলেদের অনুকুলে পাশ (অনুমতিপত্র) স্থগিত করা হয়। বনবিভাগ জানায়, বাঘ গণনার জন্য ক্যামেরা ট্রাকিং পদ্ধতি স্থাপনের স্বার্থে জেলেদের বনে প্রবেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসসিএফ) ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘সুন্দরবনে বাঘ গণনার জন্য স্থাপিত কয়েকটি ক্যামেরা সম্প্রতি চুরির ঘটনা বিস্ময়ের। কারা এই ক্যামেরা চুরি করেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনাটি উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশন আছে। তার মধ্যে কৈখালী ও কদমতলা স্টেশনে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে সেখানে নিরাপত্তার স্বার্থে জেলেদের বনে প্রবেশের পারমিট বাতিল করা হয়েছে। তবে কোবাদক ও বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন দিয়ে যথারীতি জেলেদের সুন্দরবনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।’
এসসিএফ ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘বাঘ গণনার কাজ শেষে কৈখালী ও কদমতলা স্টেশন জেলেদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।’