বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা সংকটের শেকড় মিয়ানমারে: শোলে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২২:৫৪

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার শোলে বলেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় আমরা প্রতিদিন শুধু তাদেরই সহায়তা করছি না, বরং এই সংকটের মূল কারণটি নিয়েও কাজ করছি- যা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রোথিত।’

মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার চাপ সামাল দিতে ঢাকাকে সহায়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি এই সংকটের মূল কারণ নিয়ে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সফররত দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাউন্সিলর ডেরেক শোলে সাংবাদিকদের একথা বলেন।

বাসস জানায়, বুধবার ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার অফিসে বৈঠকের পর শোলের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার শোলে বলেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় আমরা প্রতিদিন শুধু তাদেরই সহায়তা করছি না, বরং এই সংকটের মূল কারণটি নিয়েও কাজ করছি- যা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রোথিত।

‘মানবিক কারণে এই বিপুলসংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপক প্রশংসা করছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কর্মকর্তারা বলেন, পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশনায় একটি বিশেষ কূটনৈতিক অ্যাসাইনমেন্ট করতে তিনি একজন আন্ডার সেক্রেটারির পদে রয়েছেন।

এর আগে সকালে শোলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই সাক্ষাতকে তিনি ‘চমৎকার’ বৈঠক বলে অভিহিত করেন।

ওয়াশিংটন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর তারই প্রতিফলন।

এই সূত্র ধরে শোলে বলেন, ‘আমি হচ্ছি ওয়াশিংটন থেকে ঢাকায় আগত সর্বশেষ জ্যেষ্ঠ সফরকারী, অর্থনৈতিক দিকের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও রাজনৈতিকভাবে আমাদের সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আমরা যে গুরুত্ব দিয়ে থাকি এটি তার প্রতীক।

‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের ৫১ বছরের অত্যন্ত দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এখন এই সম্পর্ককে আগামী ৫১ বছর এবং তারও পরবর্তী সময়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় আছি। আমাদের অনেক অভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি আমাদের অনেক অভিন্ন সুযোগও রয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি বড় আকারে স্থান পায়। এই মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের অবদান সবচেয়ে বেশি।

‘তারাও আমাদের সঙ্গে একমত যে রোহিঙ্গাদের বাসস্থানের অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। তাদের বাসস্থানের অবস্থার উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে থাকবে।’

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। একক দেশ হিসেবে দেশটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। বছরে তারা ৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক ক্রয় করে। ঢাকা তার চেয়েও বেশি চায়। যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশে নবনির্মিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন করে বিনিয়োগ করে তাতে বাংলাদেশ খুশি হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘গত ৫০ বছরে আমাদের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। আমরা এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর