মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি বানিয়ে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার দরজটাও বন্ধ করা হলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের গাড়িবহরে গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এতো নেতা থাকতে সাহাবুদ্দিনকে কেন রাষ্ট্রপতি করা হল? তাকে রাষ্ট্রপতি করে হাজার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই সাহাবুদ্দিন ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। সেই ব্যক্তি আবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলেন।
‘পরিচ্ছন্ন একজন রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রপতি হলে আগামী দিনে তাদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে আলোচনার একটা সুযোগ থাকত। সে আলোচনার দরজাটাও শেখ হাসিনা বন্ধ করে দিলেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার (মো. সাহাবুদ্দিন) একটাই সফলতা, তিনি খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন, মামলা পরিচালনা করে সাজার ব্যবস্থা করেছেন। সে কারণে তাকে রাষ্ট্রপতি করা হয়েছে।’
বুলু আরও বলেন, ‘সরকারের পতনের জন্য দেশপ্রেমিক সব সংগঠন রাস্তায় নেমেছে। আমরা আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ সরকারের পতন হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।’
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজী মনিরুজ্জামান মনির। সঞ্চালনা করেন কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, কৃষকদলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক প্রমুখ।