নোয়াখালীর কবিরহাটে চুরির উদ্দেশ্যে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা, চুরি করা এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, এক জোড়া রুপার নূপুর ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চর নলুয়া গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও নুরউদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন শান্ত। তারা পেশায় রিকশাচালক এবং পরস্পর বন্ধু।
মঙ্গলবার বিকেলে তারা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এসএম মোসলেহ্ উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ভিকটিম নাজমুন নাহারের স্বামী কবিরহাট উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের একটি নার্সারিতে চাকরি করেন। তিনি কর্মস্থলেই থাকেন।
‘গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভিকটিম রাতে বাড়িতে একা ঘুমিয়ে ছিলেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী জাহাঙ্গীর ও শান্ত সিঁধ কেটে ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে। ভিকটিম বিষয়টি টের পেয়ে গেলে তারা ছোরার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে বেঁধে মোবাইল ফোন, স্বর্ণের এক জোড়া কানের দুল, নাকফুল ও পায়ের নূপুর কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। ভিকটিম তাদেরকে চিনে ফেলায় তারা গলায় ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যায়।’
পুলিশ সুপার জানান, পরদিন সকালে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ১৯ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি ৩০ ডিসেম্বর জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) স্থানান্তর হয়। পরে ডিবি টিম হত্যার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। সোমবার চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার আসামিদের তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।