আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর ব্যবস্থা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ‘বীর নিবাস’ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে, আসার পর থেকেই কিন্তু আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছি। এখানে দল-মত নির্বিশেষে সকল মুক্তিযোদ্ধার জন্য এই সম্মানের ব্যবস্থা আমরা করেছি।
‘মুক্তিযোদ্ধারা, তারা আসলে যে দল করুক বা যে মতেরই থাকুক, একাত্তরে যারা অস্ত্র তুলে নিয়ে জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়েছে, আমাদেরকে বিজয় এনে দিয়েছে, তাদেরকে সম্মান দেখানো, এটা আমরা আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি। আর সেই জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে তারা যাতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পায়, সম্মান পায়, সে ব্যবস্থা করেছি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থার কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা যেমন তাদের সন্তানদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, নির্যাতিত মা-বোন, তাদের জন্য একটা কোটা সিস্টেম করে দিয়েছিলেন, আমরা সরকারে আসার পর শুধু মুক্তিযোদ্ধা না, তাদের সন্তান, বংশ পরম্পরায় যারা আত্মীয়, তারাও যেন প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়, সেই চাকুরি থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে, সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে জাতির পিতার নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সহায়তার পাশাপাশি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন জাতির পিতা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তিনি ট্রাস্ট করে গেছেন।