স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসের ইতিহাস সংরক্ষণে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বৈরাচার প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতারা।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে 'গণতন্ত্র মুক্তির ডাক দিয়ে যায়, মধ্য-ফেব্রুয়ারির স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে মজিদ খানের শিক্ষানীতির বিরোধিতা করা হয়েছিল তা এখনও অর্জিত হয়নি। বিজ্ঞানভিত্তিক একমুখী শিক্ষানীতি চালু হয়নি। শিক্ষাকে বাণিজ্যকীকরণ করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষার পথ রুদ্ধ হয়েছে।
বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের যে প্রধান পূর্বশর্ত ছিল গণতন্ত্র, তাও অধরা রয়ে গেছে। দেশে বাক স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। আইসিটি অ্যাক্ট নামের কালাকানুন মত প্রকাশের পথ রুদ্ধ করেছে। মৌলবাদীদের আস্ফালনে দেশে বই ও মত প্রকাশের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে।
সেই সময়কারের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা মনে করেন, দেশে গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে।
বর্তমানে লাগামহীনভাবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়েও বক্তারা অসন্তোষ জ্ঞাপন করেন। মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আহ্বান জানান তারা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আসাদুল্লাহ তারেক। সভায় উপস্থিত ছিলেন, মুনীরুদ্দিন আহমেদ, আলোয়ারুল হক, শহীদুল ইসলাম, ডা. মুশতাক হোসেন, এডভোকেট আবেদ রাজা, লুৎফা হাসান রোজীসহ আরও অনেকে। এর আগে ১৯৮৩ সালে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের আমলে প্রবর্তিত মজিদ খানের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে উত্তাল ছাত্র বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণে শিক্ষা চত্ত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান ১৯৮২-৯০'র ছাত্র ঐক্যের নেতারা।