বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় বিএনপির পদযাত্রা একদিন এগিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২০:৩১

নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, কিছু অনিবার্য কারণে পূর্বঘোষিত ঢাকার পদযাত্রা কর্মসূচি একদিন এগিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তবে অন্য মহানগরীতে নির্ধারিত তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচি পালন করা হবে।

বিএনপি ঘোষিত ১৮ ফেব্রুয়ারির পদযাত্রা কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ওই কর্মসূচি রাজধানী ঢাকায় একদিন এগিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তবে অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে পূবনির্ধারিত তারিখেই কর্মসূচি পালিত হবে।

সরকারের পদত্যাগ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটায় বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে দুটি পৃথক পদযাত্রা বের হবে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে পদযাত্রা কর্মসূচির সময় পুনর্বিন্যাসের কথা জানান দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

তিনি জানান, কিছু অনিবার্য কারণে ঢাকার পদযাত্রার তারিখ পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। অন্য মহানগরীতে কর্মসূচির তারিখ ঠিক থাকলেও ঢাকার কর্মসূচি একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।

সংশোধিত কর্মসূচি ঘোষণার আগে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পদযাত্রার চার দিন পেরুলেও গায়েবি মামলার মিছিল থামছে না। গায়েবি মামলাকে হাতিয়ার করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর চলছে নির্যাতন-নিপীড়ন।

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ওপর এই সরকার ব্যাপক নিপীড়ন চালাচ্ছে। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বাসিন্দা চান মিয়া বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী নন। অথচ পদযাত্রার আগের রাতে তার বাড়িতে পুলিশ এসে তাকে হুমকি দেয়। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারাও তাকে হুমকি দেন।

‘১২ ফেব্রুয়ারি চান মিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মামলার আসামি বলে জানতে পারেন। এ ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে, মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে হাসপাতালেই মারা যান তিনি। এই মৃত্যুর দায় অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে।’

প্রিন্স বলেন, ‘সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। এভাবে সরকার মানুষকে আন্দোলন থেকে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তবে সরকার পার পাবে না। শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের অসত্য বয়ানে জনগণ আর বিভ্রান্ত হবে না। জনগণ ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে।

‘জনগণের এই জাগরণ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীরা জেনেবুঝেও নিজেদের বাঁচাতে মরণ কামড় দিচ্ছে। তবে জাগ্রত মানুষের মরণে ছোবলে সরকারের ক্ষমতার অবৈধ মসনদ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। সে সময় সন্নিকটে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা কথায় কথায় সংবিধানের কথা বললেও তারা নিজেরাই তা লঙ্ঘন করছেন। সরকার গণতন্ত্র, নির্বাচন ও রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বেড়াজালে দেশবাসীকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে।

‘সরকার ও তার অনুগত লোকদের দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচারের কেলেঙ্কারিতে দেশের আর্থিক অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে রেকর্ড পরিমাণ টাকা ছাপিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর