বিএনপির নেতৃত্বে চার দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকার সময় রাষ্ট্রপতি হওয়া ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মতো কাউকে নয় বরং সুশিক্ষিত, সৎ, যোগ্য ও দক্ষ একজনকে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ২০০২ সালে বিএনপির নেতৃত্বে চার দলীয় জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন রাষ্ট্রপতি পদে বসেন। দলটি ক্ষমতা ছাড়ার পর ২০০৬ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্বের সঙ্গেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্বও নেন। রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানেরও দায়িত্ব নেয়াটা তুমুল বিতর্কের জন্ম দেয় এবং তার প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়ার পদ্ধতিটা নিয়মের লঙ্ঘন বলেও সমালোচনা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এমন কোনো রাষ্ট্রপতি করিনি যার নাম ইয়াজউদ্দিন, কাযক্রমে ইয়েস উদ্দিন। এ ইয়েস কোনো ব্যক্তিকে আমরা রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিইনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী কোনো অপশক্তির প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দিইনি।’
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে, আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে এমন কাউকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। সুশিক্ষিত, সৎ, যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিতে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছি। যার ক্যারিয়ার, গোটা জীবনটাই বর্নাঢ্য। এমন ব্যক্তিতে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছি।’
রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার পর দলের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই। বিএনপির মতো দল নির্বাচনে থাকুক এটা আমাদের প্রত্যাশা।’
গণতন্ত্র ও সংবিধানের প্রতি আগ্রহ নেই বলে বিএনপির নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়েও আগ্রহ নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘এখানে তাদের আগ্রহ থাকবে না। দেশের সংবিধানে, গণতন্ত্রে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। গণতন্ত্র ও সংবিধানে আগ্রহ না থাকে তাহলে রাষ্ট্রপতি কে হলো না হলো তা নিয়ে তাদের আগ্রহ না থাকারই কথা। এ নিয়ে আমরা অবাক হইনি। বিএনপি এমনই বলবে, এটা তাদের মুখে শোভা পাবে।’
বিএনপির সংলাপেও আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি তাদের সংলাপে ডেকেছে যায়নি, ইসির সংলাপে যায়নি। তারা সংলাপে বিশ্বাস করে বলে মনে হয় না।’