বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অপহরণ নাটক’: মরিয়ম মান্নান, মায়ের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ

  • প্রতিনিধি, খুলনা   
  • ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৫:০২

পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘মামলাটি তদন্তের শেষ করার পর, হেডকোয়ার্টার থেকে অনুমোদন নিয়ে সকালে খুলনার মহানগর হাকিম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।’

দেশব্যাপী বহুল আলোচিত রহিমা বেগমের ‘অপহরণের নাটকের’ ঘটনায় মরিয়ম মান্নান, তার মা রহিমা বেগম ও বোন আদুরী আক্তারের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান পিবিআই কার্যালয়ে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘মামলাটি তদন্তের শেষ করার পর, হেডকোয়ার্টার থেকে অনুমোদন নিয়ে সকালে খুলনার মহানগর হাকিম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।’

পুলিশ সুপার জানান, তদন্তে রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি; বরং জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নানের নেতৃত্বে অপহরণের নাটক সাজানোর প্রমাণ মিলেছে। মূলত রহিমা বেগম অপহরণ হননি, তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। তিনি ২৮ দিন আত্মগোপনে ছিলেন। এ ২৮ দিন তিনি বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করেছেন।

২৭ অক্টোবর রাতে তিনি মহেশ্বরপাশার বাসা থেকে আত্মগোপন করার পরে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় কিছুদিন অবস্থান করার পর টপ টেনের একটি ব্যাগে কিছু কাপড় ও ওষুধ দিয়ে মরিয়ম মান্নান তাকে বান্দরবান পাঠিয়ে দেয়। সেখানে কিছুদিন অবস্থান করার পর তিনি চলে যান ফরিদপুর জেলা বোয়ালমারী সৈয়দ গ্রামের জনৈক আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে।

তিনি বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ওই বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি। তাকে উদ্ধারের পর তিনি কোনো কথাই বলছিলেন না। অনেক চেষ্টার পর কথা বলানো সম্ভব হলে তিনি জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ আছে বলে জানান। পরে নাম উল্লেখ করে তারা অপহরণ করেছে বলে বিবৃতি দেন। পরবর্তীতে তাকে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দীর জন্য পাঠানো হলে তিনি একই রকমের মিথ্যা বক্তব্য দেন।

‘যেহেতু আমরা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে ঘটনাস্থল মহেশ্বরপাশায় পাওয়া যায়। সুতরাং তদন্ত শেষে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতামতে শুধুমাত্র জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নানের নেতৃত্বে এ অপহরণ নাটক সাজানো হয়।’

২০২২ সালের ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। ওই দিন রাত ২টার দিকে খুলনা নগরের দৌলতপুর থানায় মায়ের অপহরণের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ আল সাদী। রহিমা বেগমকে অপহরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে পর দিন ওই থানায় মামলা করেন রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী আক্তার।

মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের প্রতিবেশী মঈন উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ জুয়েল ও হেলাল শরীফের নাম উল্লেখ করা হয়। ওই সময় তাদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন।

ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে অক্ষত ও স্বাভাবিক অবস্থায় রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে রহিমা বেগম তার মেয়ে আদুরী আক্তারের জিম্মায় খুলনা শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর