ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্যাম্পাসে গাড়িচাপায় রুবিনা আক্তারের নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়েছে।
সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য দিন ঠিক ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. জাফর প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় বিচারক আগামী ২২ মার্চ নতুন দিন ঠিক করেন।
এরই মধ্যে ওই ঘটনায় যার গাড়ির নিচে চাপা পড়ে রুবিনা নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষক গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
রুবিনা গত ২ ডিসেম্বর তার দেবর নুরুল আমিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসা থেকে হাজারীবাগে তার বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিপরীতে টিএসসি অভিমুখী সড়কে বিকেল ৩টার দিকে একটি প্রাইভেটকার পেছন থেকে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে নুরুল আমিন মোটরসাইকেলসহ একপাশে ছিটকে পড়েন। রুবিনা গাড়ির নিচে চাপা পড়েন।
এ সময় গাড়ির বাম্পারে রুবিনার পোশাক আটকে যায়। ওই অবস্থায় গাড়ির চালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আজহার জাফর শাহ গাড়ি না থামিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকা থেকে বেপরোয়া গতিতে টিএসসি দিয়ে নীলক্ষেত এলাকার দিকে যান।
রুবিনা গাড়ির সঙ্গে আটকে যাওয়ায় তাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন চালক। উপস্থিত জনতা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলেও চালক গাড়ি থামাননি। পরে নীলক্ষেত মোড়ে গিয়ে আটকে যায় গাড়িটি।
এ সময় চালককে গণপিটুনি দেয় উপস্থিত জনতা। এতে আহত হন তিনি। পরে আহত রুবিনা ও গাড়িচালককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে রুবিনা মারা যান। এ ঘটনায় রুবিনার ভাই জাকির হোসেন ২ নভেম্বর রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।