খাদ্যপণ্য সরবরাহ সংক্রান্ত কোম্পানি খুলে ডিলার, এরিয়া সেলস ম্যানেজার, অফিস ম্যানেজোরসহ নানা পদে নিয়োগের নামে প্রতারণা করছে একটি চক্র। প্রথম সারির জাতীয় পত্রিকায় নামসর্বস্ব কোম্পানির বিজ্ঞাপন দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। এই প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে ২ লাখ থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খুইয়েছেন অন্তত ৪০ জন ভুক্তভোগী।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এই চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ। তারা হলেন- কবির হোসেন ওরফে জোবায়ের ওরফে আক্তার হোসেন ওরফে আশরাফুল ওরফে রাসেল, মামুন হোসেন ওরফে বেলাল ওরফে কামরুল, আবু হাসান ওরফে জামিল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল রাব্বী ওরফে রেদওয়ান।
সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাইফুর রহমান আজাদ রোববার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতারণার অংশ হিসেবে চক্রটি নাবিলা, তৃষ্ণাসহ বিভিন্ন নামে ফুড প্রোডাক্টের কোম্পানি খোলে। পরে সেই কোম্পানির নানা পদে লোক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপন দেয়ার আগে তারা রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুরের মতো এলাকায় অফিস নেয়। চাকচিক্যপূর্ণ অফিসে চাকরি প্রত্যাশীর ভিড় বাড়তে বলে।
‘তেল, চিনি, আটা, ময়দা, চা, চিনিগুড়া চাল, হলুদ, মরিচসহ ৩০টির বেশি পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির কথা বলে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে চক্রের সদস্যরা। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ডিলার ও অন্যান্য পদে নিয়োগের জন্য ২ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।’
সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, টাকা পাঠানোর পরদিন থেকেই প্রতারকরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের পথ বন্ধ করে দেয়। বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা ঠিকানা অনুযায়ী তাদের খোঁজে অফিসে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় না। কেননা ইতোমধ্যে প্রতারকর সবকিছু গুটিয়ে পালিয়ে গেছে।
‘চক্রটি এখানেই থেমে থাকে না। তারা আবার নতুন নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণা চালিয়ে যায়। অবশেষে ওই প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।’