চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনাসহ সারা দেশে নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের ২১ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে চবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলামসহ ২১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বাংলাদেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার সুযোগ নেই৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে জাগরণ, যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে সেটিকে কোনোভাবে বানচাল করার সুযোগ নেই৷ যদি কেউ কোনোভাবে এমনটি চেষ্টা করে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ যেমনটি আমরা এই ঘটনায় করেছি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৯ জানুয়ারি চবি চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়া ও হামলার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্স(ভার্সিটি এক্সপ্রেস) ও বিএমের(বাংলার মুখ) কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আকতার, আরটিভির ফটো সাংবাদিক এমরাউল কায়েস মিঠুসহ বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী ছাত্রলীগ নেতাক্রর্মীদের হাতে হেনস্তার শিকার হন।
হামলার ঘটনায় ওইদিন দুপুরে প্রক্টর বরারব লিখিত অভিযোগ করেছেন চারুকলার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শনিবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন।