বাতাসের নিম্নমানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার শীর্ষে ছিল। তবে রোববার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হতে পেরেছে মহানগরী।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে রোববার সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে ১০০টি শহরের মধ্যে দূষিত বাতাসে ষষ্ঠ ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
আগের দিন শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহরগুলোর মধ্যে দূষিত বাতাসে প্রথম ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
তার আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ১০০টি শহরের মধ্যে দূষিত বাতাসে শীর্ষে ছিল ঢাকা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে বাতাসের নিম্নমানে শহরগুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল দেশের সবচেয়ে জনবহুল নগরী।
র্যাঙ্কিংয়ে রোববার সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল চীনের শেনইয়াং, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের মুম্বাই।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৯ গুণ বেশি। আগের দিন সকাল সাড়ে ৯টায় সেটি ছিল ৬৪.১ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি খারাপ, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
আজ সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৭১। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।
আগের দিন সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ৩৭০। সে সময়টাতে বিপজ্জনক বাতাসের মধ্যে থাকতে হয়েছে ঢাকাবাসীকে।