‘আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষের সময় আমার পাটের গোডাউনে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে আমার পাঁচ মণ পাট পুড়িয়ে গেছে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি।’
অশ্রুভেজা চোখে কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর বুড়িরবাজারের পাট ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা। ওই এলাকাতেই শনিবার বিকেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি হয়, যা পরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় কমপক্ষে নয়টি দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, মহেন্দ্রনগরের বুড়িরবাজার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সেখানকার একটি পাটের গোডাউনসহ প্রায় নয়টি দোকান আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির নেতা-কর্মীরাই সংঘর্ষের শেষে দোকানগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সংঘর্ষে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য তাহমিদুল ইসলাম বিপ্লবসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষতিগ্রস্ত এক মুদি দোকানি বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা এসে আমার দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমার কয়েক লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ মণ্ডল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। আমরা কোনো ভাঙচুর করিনি।’
জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তবে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। সেখানে সংঘর্ষের পর কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তা নিয়ন্ত্রণে আনে।’